সংক্ষিপ্ত
- বৃষ্টির জন্য বৃষ্টি ব্যাঙের বিয়ে হিন্দি বলয়ে প্রচলিত প্রথা
- কিন্তু বৃষ্টি থামানোর জন্য ব্যাঙের বিবাহ বিচ্ছেদের নজির ছিল না
- তাও এবার দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে
- আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য আরও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাই জানিয়েছে
অভাবে খরা দেখা দিয়েছিল। আর সেই সময় বরুণদেবকে তুষ্ট করে বৃষ্টি নামাতে ভারতের বিভিন্ন জায়গার মতো মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও একজোড়া ব্যাঙের বিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যাঙ দম্পতির প্রেমের এতই জোর, যে এখন সেই বৃষ্টি আর থামছেই না। এবার তাই অতিবৃষ্টি রুখতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হল।
মাস দুয়েক আগে মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টির অভাবে খরা দেখা দিয়েছিল। আর সেই সময় বরুণদেবকে তুষ্ট করে বৃষ্টি নামাতে ভারতের বিভিন্ন জায়গার মতো মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও একজোড়া ব্যাঙের বিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যাঙ দম্পতির প্রেমের এতই জোর, যে এখন সেই বৃষ্টি আর থামছেই না। এবার তাই অতিবৃষ্টি রুখতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো হল।
ভারতে একটা বড় অংশের মানুষের মনে কুসংস্কার রয়েছে ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বরুণদেব প্রসন্ন হন। আর তিনি প্রসন্ন হলেই বৃষ্টি নামে। সেই বিশ্বাস থেকেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ওম শিব সেবা শক্তি মণ্ডল দুটি ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতে ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছিল বলে দাবি সংগঠনের সদস্যদের। কারণ ব্যাঙ বিবাহের কয়েদিন পর থেকেই ভোপাল ও সংলগ্ন এলাকায় ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছিল।
সেই বৃষ্টি এখন প্রায় ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে। শুধু ভোপাল ও তার আশপাশের এলাকাই নয়, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যজুড়েই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বৃষ্টির দাপট থামাতে সেই ব্যাঙ দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদই পথ বলে মনে করে ওম শিব সেবা শক্তি মণ্ডল। তাই বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় শিব মন্দিরে ব্যাঙদের বিবাহ বিচ্ছেদের াসর বসানো হয়।
মুশকিল হল বিয়ে দেওয়া ব্যাঙদুটিকে নিজেদের মতো ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই তাদের আর পাওয়া যায়নি। বদলে প্রতীকি হিসেবে দুটি মাটির তৈরি ব্যাঙের মূর্তি ব্যবহার করা হয়। শিব নিঙ্গের সামনে মাটির ব্যাঙদুটিকে বসিয়ে পুরোহিত ডেকে মন্ত্রোচ্চারণ করে তাদের বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। আর বিয়ে ভাঙার পর পাশাপাশি থাকা মাটির ব্যাঙদুটিকে পরস্পরের থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বৃষ্টি নামানোর জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া ভারতের অন্তত হিন্দি বলয়ে বহু প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। কিন্তু বৃষ্টি থামানোর জন্য ব্যাঙের বিবাহ বিচ্ছেদের নজির এযাবত ছিল না। এতে কতটা কাজ হয়, তা সময়ই বলবে। তবে আবহাওয়া দপ্তর থেকে খুব একটা আশার কথা শোনানো হয়নি। বরং রাজ্যের ১৯টি জেলাতেই আগামী ২-৩ দিন অতি ভারি বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।