সংক্ষিপ্ত
- কৃষকদের আন্দোলনের আঁচ সাধারণ দিবসের কুচকাওয়াজে
- আটকে পড়েন কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী ২০০ জন শিল্পী
- ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে পড়েন তাঁরা
- উদ্ধার করে দিল্লি পুলিশের একটি দল
কিষাণ প্যারেডে বিশৃঙ্খলতার কারণে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হল ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ শিল্পীকে। বিকেলে দিল্লিতে অতিরিক্ত আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কথা বলে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলও বন্ধ করে দেওয়া হয় সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার তরফ থেকে। তারপর দিল্লির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। দীর্ঘ সাড়ে ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয় দিনভর আটকে পড়া ২০০ শিল্পীকে।
সূত্রের খবর, ট্র্যাক্টর মিছিলেন কারণে দিল্লির শিল্পীরা গুপুর ১২টা থেকে লালকেল্লার কাছে আটকে পড়েছিলেন। কিষাণ প্যারেডের নির্ধারিত রুট না থাকলেও আন্দোলনকারী কৃষকরা চড়াও হল লালকেল্লায়। নিমেষের মধ্যেই গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের আকার নেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত রাস্ত। এই অবস্থায় সাধারণতন্ত্র দিবসের শিল্পীদের দরিয়াগঞ্জ গেজেটেড অফিসারের মেসে রাখা হয়। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ২০০ জন শিল্পী সেখানেই আচকে ছিলেন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শিল্পীদের বাসে একজন করে সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের একটি গাড়ি তাদের এসকর্ট করে নিয়ে যায়। শিল্পীরা সুস্থ রয়েছে বলেও জানান হয়েছে।
করোনা মহামারির কালো ছায়া, ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরলেন আরও এক রাষ্ট্র-নেতা ..
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, কৃষকদেক সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৮৩জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ জনকে রাষ্ট্রীয় এলএসজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন দিল্লির হিংসার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সীমানা এলাকাগুলিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস। সাময়িক বন্ধ থাকে মেট্রো রেল পরিষেবাও।