সংক্ষিপ্ত

এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বর মাস ব্যতীতে ২০২১ সালের সমস্ত মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্চ সামে দেশে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ মার্চ ছিল উষ্ণতম মাস। তারপর তারপরের উষ্ণতম মাসগুলি ছিল অগাস্ট, জানুয়ারি ও অক্টোবর মাস।

২০২১ সাল ছিল ৯০১ সালের পর থেকে  ভারতের (India) পঞ্চম উষ্ণতম বছর (fifth warmest year)। গত বছর বার্ষিক গড় স্থলভাগের বাতাসের তাপমাত্রা ছিল ০.৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়ালের বেশি। ভারতের আবহাওয়া দফতের  (IMD) একটি প্রতিবেদনে তেমনই রিপোর্ট করা হয়েছে। গত বছর চরম আবহাওয়ার কারণে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৭৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বর মাস ব্যতীতে ২০২১ সালের সমস্ত মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্চ সামে দেশে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ মার্চ ছিল উষ্ণতম মাস। তারপর তারপরের উষ্ণতম মাসগুলি ছিল অগাস্ট, জানুয়ারি ও অক্টোবর মাস। আবহাওয়া দফতের এই প্রতিবেনে একটি স্বস্তির দিক রয়েছে। সেটি হল ২০২১ যতই উষ্ণতম বছর হোক না কেন গত বছরের গড় উষ্ণতা ২০১৬কে টপরে যেতে পারেনি। ২০১৬ সালের স্থলভাগের বায়ুর তাপমাত্রা ছিল ০.৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আইএমডি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমস্ত ভারতে শীতকাল (জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি) আর বর্ষাকাল- পরবর্তী (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) তাপমাত্রা অসামঞ্জস্য দেখা গিয়েছিল। এই সময়টাতে আগের বছরগুলির তুলনায় উষ্ণতা ক্রমশই বেড়ে গিয়েছিল।

২০২১ সালের বিশ্বব্য়াপী গড় তাপমাত্রার অসামঞ্জস্য ধরা পড়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে  ক্লাইমেট গ্লোব্যাল সামিট ২০২১ এ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ১৮৫০-১৯০০ শিল্প বিপ্লবের প্রথম দিকে গড় যে তাপমাত্রা ছিল তার তুলনায় বর্তমানে বিশ্বের গড় ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ১.০৮ ডিগ্রি বেড়ে গেছে। 

গত বছর আবহাওয়ার তারতম্যও ধরা পড়েছে। ২০২১ সেল মোট পাঁচটি গ্রীষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝ়় উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি হয়েছিল। যারমধ্যে তিনটি ঝড় তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। দুটি তৈরি হয়েছিল আরব সাগরে। অতি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস, বজ্রপাতের মত ঘটনাগুলিও গত বছর তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে আবহাওয়ার পরবর্তনের কারণেই এই জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতকে। শুধু ভারত নয় এই সমস্যা বিশ্বের বাকি দেশগুলিতেও। কোনও কোনও দেশে জলস্তর বাড়ছে। একের পর হিমবাহ গলে যাচ্ছে। যার পরিবেশের তারতম্যা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্বের গড় উষ্ণতা কমানোর মাধ্যমেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের সবকটি দেশদেশকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে হবে।