সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানাকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ আগেই অবশ্য দিয়েছিল মার্কিন আদালত।
দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নিঃসন্দেহে বড় একটি আপডেট। ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে এবার হাতে পেতে চলেছে ভারত।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানাকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ আগেই অবশ্য দিয়েছিল মার্কিন আদালত। আর এবার মার্কিন আপিল আদালতের বিচারকদের একটি প্যানেল তাঁকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে ভারতে আনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর, মুম্বইতে যে পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তাদের অন্যতম মদতদাতা ছিল এই রানা। হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ছিল মার্কিন নাগরিক ডেভিল কোলম্যান হেডলি এবং রানা তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল।
প্রায় দেড় দশক ধরে এই অপরাধীকে হাতে পেতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে ভারত। অবশেষে ১৯৯৭ সালের ভারত ও আমেরিকা বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির ভিত্তিতে সেই প্রক্রিয়া সফল হতে চলেছে বলে জানা গেছে।
গত ২০১৩ সালে, তাঁকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। গত ২০২০ সালে, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে খুনের মামলায় ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই জঙ্গিকে নয়াদিল্লীর হেফাজতে তুলে দিতে মার্কিন প্রশাসন আদালতে পাল্টা আবেদন করে।
জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাসে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত জানিয়ে দেয় যে, রানা ভারতের কাছে প্রত্যর্পণযোগ্য। সম্প্রতি দিল্লীতে মার্কিন দূতাবাসের অফিসে ভারত এবং আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষস্তরের কর্তা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়।
শেষপর্যন্ত, আমেরিকার আদালতের অনুমোদন মেলায় সেই দেশের জেলে বন্দি ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানাকে ভারত নিজেদের হাতে পেতে চলেছে। সূত্রের খবর, ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চ বাইডেন সরকারের আবেদন মেনে রানার এই প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছে।
গত ২০২৩ সালের মে মাসে, ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এরপর রানার আবেদন ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল। সেই বেঞ্চ রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদনে সায় দিয়েছে। যদিও প্রত্যর্পণের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে রানার আবেদনও খারিজ হয়ে গেছে।
এর ফলে, আমেরিকার আইন অনুযায়ী বিদেশ সচিব প্রত্যর্পণের নির্দেশনামায় সই করতে পারবেন। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লী। কিন্তু তাতে অবশ্য সায় মেলেনি। বরং, পরবর্তীকালে তিনি জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর, পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তইবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিল ভারত। তার পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের তরফ থেকে আবার আবেদন জানানো হলে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করে আমেরিকার পুলিশ।
তারপর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গেছিল। ফলে, তাঁর প্রত্যর্পণের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, ২ বছর আগেই ২০০৮ সালের ওই সন্ত্রাসে অভিযুক্ত রানাকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লী।
বাইডেনের সরকারও ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে রানাকে পাঠানোর কথা জানিয়ে দিয়েছিল আদালতে। শেষপর্যন্ত, সেই আবেদন মেনে নিল আমেরিকার আদালতও।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর, মুম্বইতে যে পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তাদের অন্যতম মদতদাতা ছিল এই রানা। হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ছিল মার্কিন নাগরিক ডেভিল কোলম্যান হেডলি এবং রানা তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল।
এবার আমেরিকার আদালতের অনুমোদন মেলায় সেই দেশের জেলে বন্দি ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানাকে ভারত নিজেদের হাতে পেতে চলেছে। সূত্রের খবর, ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চ বাইডেন সরকারের আবেদন মেনে রানার এই প্রত্যর্পণে সায় দিয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।