ড্রাগন-হাতি মেলবন্ধন: ভারত-চিন সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তিতে শি জিনপিংয়ের শুভেচ্ছা বার্তা। তিনি শান্তি ও সীমান্ত রক্ষার কথা বলেছেন।
ড্রাগন-হাতি মেলবন্ধন: চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ভারত ও চিনের সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) অভিনন্দন জানিয়ে তিনি এই কথা বলেন। তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে ড্রাগন-এলিফেন্ট ট্যাঙ্গো (Dragon-Elephant Tango) হিসেবে দেখেন।
সীমান্ত বিরোধের পর সম্পর্কে নরম সুর
ভারত ও চিনের মধ্যে গত কয়েক বছরে উত্তেজনা দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে (Ladakh Border) সংঘর্ষের পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। তবে এখন দুই দেশ সম্পর্ককে নতুন পথে চালিত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। শি জিনপিং তার বার্তায় বলেছেন, ভারত ও চিনকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ খুঁজতে হবে এবং একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
শি জিনপিং কী বলেছেন?
শি জিনপিং তার বার্তায় বলেছেন, ভারত ও চিন উভয়ই এশিয়ার বড় শক্তি এবং আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় বাড়াতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
ভারত-চিনের মধ্যে বাড়বে সহযোগিতা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শি জিনপিংয়ের এই বার্তা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হতে পারে। সম্প্রতি ব্রিকস (BRICS), এসসিও (Shanghai Cooperation Organisation) এবং জি২০ (G20) এর মতো মঞ্চে ভারত ও চিনের মধ্যে আলোচনা বেড়েছে। দুই দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার দিকেও কাজ করছে।
ড্রাগন-হাতি মেলবন্ধন: এর মানে কী?
শি জিনপিংয়ের ড্রাগন-এলিফেন্ট ট্যাঙ্গো (Dragon-Elephant Tango) এর উল্লেখ করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চিনকে ড্রাগন (Dragon) এবং ভারতকে হাতি (Elephant) হিসেবে দেখা হয়। এই শব্দমালা এটাই বোঝায় যে, দুই দেশের একে অপরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া উচিত, কোনো রকম সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আবেদন
ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) নিয়ে প্রায়ই বিরোধ দেখা যায়। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সামরিক কমান্ডার স্তরের বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে, যার মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শি জিনপিংও এই বার্তায় সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই বার্তার ওপর কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চিনের এই ইতিবাচক মনোভাবকে ভারত হালকাভাবে নেবে না।


