সংক্ষিপ্ত
২৬/১১ মুম্বই হামলার আসামি তাহাউর রানাকে শীঘ্রই ভারতে আনা হতে পারে। আমেরিকা থেকে প্রত্যর্পণের আশায়, এটি ভারতের জন্য একটি বড় বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে।
২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানাকে শীঘ্রই ভারতে আনা হবে। তাকে আমেরিকা থেকে শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টে আমেরিকান আদালত আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তির অধীনে তার প্রত্যর্পণ বহাল রেখেছিল। এখন তাহাউর রানাকে ভারতে আনার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে।
তাহাউর রানার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
তাহাউর রানার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৬/১১ তারিখে মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। রানার বিরুদ্ধে ডেভিড কোলম্যান হেডলির সাথে মিলে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। হেডলিকে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হয়।
মুম্বই পুলিশ ৪০৫ পৃষ্ঠার চার্জশিটে রানার নাম উল্লেখ করেছে। তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রানা মুম্বইয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের জন্য অবতরণ স্থান খুঁজে বের করেছিল। কোন জায়গায় হামলা করতে হবে তা বলেছিল। সে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে সাহায্য করেছিল যা হামলাকারীরা তাদের হামলার পরিকল্পনা করার জন্য ব্যবহার করেছিল।
তাহাউর রানার প্রত্যর্পণের কী প্রভাব পড়বে?
তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ ২৬/১১ হামলার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এটি ভারত সরকার এবং ভারতের সংস্থাগুলির জন্য বড় বিজয়। ভারত দীর্ঘদিন ধরে মুম্বই হামলায় তার জড়িত থাকার জন্য রানার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
তাহাউর রানাকে ভারতে আনা হলে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চললে পাকিস্তানের মুখোশ উন্মোচিত হবে। বিশ্ব আবারও জানতে পারবে কীভাবে আইএসআই এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির নেটওয়ার্ক ভারতের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত খেলা খেলেছে।
কূটনৈতিক মাধ্যমে রানাকে ভারতে আনার জন্য কাজ চলছে। এই প্রত্যর্পণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। এটি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বৈশ্বিক অঙ্গীকারের উদাহরণ স্থাপন করবে। বিশ্ব জানতে পারবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কোন সীমানা পেরিয়ে গেলেও বাঁচতে পারবে না। রানার ভারতে আসার ফলে ২৬/১১-এর হামলা এবং ট্র্যাজেডিতে জড়িত সকল ব্যক্তিকে জবাবদিহি করার চলমান প্রচেষ্টার উপর নতুন করে নজর পড়বে। তাকে তার কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করতে হবে। ভারতের আদালত থেকে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।