সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালে বাঘের আক্রমণে ৩১ জন, ২০১৯ সালে ৪৯ জন , ২০২০ সালে ৫১ জন, ২০২১ সালে ৫৯ জন ও ২০২২ সালে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

২০১৮-২০২২ এর মধ্যে বাঘের আক্রমণে ২৯৩ জন প্রাণ হারিয়ে। ২০১৮-১৯ ও ২০২২-২৩ এর সালের মধ্যে হাতির হানায় ২ হাজার ৬৫৭ জন মারা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে লিখিত প্রশ্নের কারণে এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালে বাঘের আক্রমণে ৩১ জন, ২০১৯ সালে ৪৯ জন , ২০২০ সালে ৫১ জন, ২০২১ সালে ৫৯ জন ও ২০২২ সালে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, হাতির আক্রমণে ২০১৮-১৯ সালে ৪৫৭, ২০১৯-২০ সালে ৫৮৬, ২০২০-২১ সালে ৪৬৪ ও ২০২১-২২ সালে ৫৪৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে বন্য প্রাণীর আক্রমণের ঘটনাগুলি বিভিন্ন কারণে রিপোর্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আবাসস্থলের অবক্ষয়, প্রাকৃতিক শিকারের ভিত্তিতে হ্রাস, টেকসই সুরক্ষা প্রচেষ্টার কারণে বন্য প্রাণীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ফসলের ধরন পরিবর্তন করা।

মানুষ ও প্রাণীর সংঘাত বা এজাতীয় ঘটনা কমানোর জন্য গৃহীত ব্যবস্থার কথা উল্লেখ কে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে হাতি, চিতাবাঘ, সাপ, কুমির , বন্য শূকর এজাতীয় প্রাণীদের সংঘর্ষ প্রায়ই হয়। ভালুক, নীল গাই ও কালো হরিণেরও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বন সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর মানুষ বাস করেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়টি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক প্রকল্পগুলি হাতে নিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সরকারগুলিকে আর্থিক সাহায্য প্রদানও করে। পাশাপাশি বন্য প্রানীদের বাসস্থানের উন্নয়ন , ব্যাঘ্র প্রকল্প ও হাতি প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য জোর দিচ্ছে।