সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরং লাল বাংরা বলেছেন, হিন্দুদের ক্রমহ্রাসমান জন্মহার দেশে হিন্দুয়ের জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে।

 

হিন্দুদের (Hindu) মধ্যে জন্মের হার ক্রমশই কমছে। এই দাবি করে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad)। আর হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে আর জনসংখ্যায় ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রত্যেকটি হিন্দু পরিবারে কমপক্ষে ৩টি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া জরুরি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক দম্পতির কাছে কমপক্ষে ৩টি করে সন্তানের জন্ম দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। শনিবার প্রয়াগরাজে সন্তদের একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তা ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেখানেই পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংরা এই আবেদন জানিয়েছেন।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরং লাল বাংরা বলেছেন, 'হিন্দুদের ক্রমহ্রাসমান জন্মহার দেশে হিন্দুয়ের জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে। হিন্দু সমাজের শ্রদ্ধেয় সাধুরা প্রতিটি হিন্দু পরিবারের কাছে কমপক্ষে তিনটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।' তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর ধরাবাহিকভাবে নির্যাতন চালান হচ্ছে। সভায় সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'ভারতেও কিছু উপাদন হিন্দুদের হুকমি দিচ্ছে যে তরা বাংলাদেশের মত পরিস্থিতি এখানেও তৈরি করবে। দেশের হিন্দুদের এই বিষয়ে গভীরভাবে চি্তা করা উচিৎ। কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ বোর্ডের স্বৈরাচারী ও সীমাহিন অধিকীর সীমিত করার জন্য একটি আইন সংস্কার করা হচ্ছে।'

সন্তদের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, এই মহাকুম্ভে ভারতের সনাতন ঐতিহ্য দৃশ্যমান যা সমগ্র বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, '১৯৮০ সালের পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই পবিত্র ভূমি- মা গঙ্গা,যমুনা আর সরস্বতীর পবিত্র তীরে অনেক সংকল্প গ্রহণ করেছি। আজ আমরা যে সংকল্প শপথ নিলাম তা আগামী দিনেই বাস্তব করা হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা অশোক হিংলকে স্মরণ করেছি। যিনি আজ আমাদের মধ্যে শারীরিকভাবে উপস্থিত নন , কিন্তু তাঁর আত্মা অবশ্যই এটি দেখে আনন্দিত হবে। সনাতন ধর্ম ৫০০ বছর ধরে যে স্বপ্নের জন্য অপেক্ষা করেছিল তা হল রাম লালা তাঁর জন্মস্থানে দিব্য ও মহৎ রূপে অধীষ্টিত হবেন।' তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে মাত্র ৩ লক্ষ মানুষ অযোধ্যায় উপস্থিত হয়েছিলেন। আর ২০২৪ সালে ১৫ কোটি মানুষ অযোধ্যা দর্শন করেছেন। যা একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। তিনি বলেছেন, অযোধ্যার মত রূপ আগমী দিনে হবে কাশীতেও। তিনি আরও বলেন, শ্রীরাম জন্মভূমির পর এখন মথুরা আর কাশীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বকারী জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য স্বামী বাসুদেবানন্দ সরস্বতী জি তাঁর আশীর্বাদে বলেছিলেন যে এটি সেই পবিত্র ভূমি যেখানে এই গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র তীরে শ্রদ্ধেয় সাধুরা হিন্দু সমাজ সম্পর্কে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওড়িশার প্রভাকর দাস জি মহারাজ হিন্দু সমাজের ঐক্যের উপর জোর দিয়েছিলেন, অন্যদিকে বাল্মীকি সমাজের যোগী উমেশ নাথ জি মহারাজ হিন্দু সমাজকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, ভিএইচপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।