সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, খুব দ্রুত আলফা নেতা ও সদস্যদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে পাকিস্তান। হয় বাংলাদেশের মাটিতে হবে নয়তো পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

 

লক্ষ্য একটাই! ভারতের (India) বিরোধিতা, ভারতে অশান্তি তৈরি করা। আর সেই লক্ষ্যেই সক্রিয় পাকিস্তানের (Paskistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। সূত্রে খবর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে (Bangladesh) পা রেখেছে আইএসআই কর্তারা। ইতিমধ্যেই চট্টোগ্রামের পরেশ বরুয়ারার নেতৃত্বে কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা (স্বাধীন)-এর কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছে। ভারতের গোয়ান্দা সূত্রের খবর পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের মূল টার্গেটই হল অসম-সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি অশান্তি তৈরি করা, সন্ত্রাসবাদ আর হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই পাক গুপ্তচর সংস্থা একটি পরিকল্পনা করেছে। তা বাস্তবায়নের জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে আলফা নেতাদের।

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, খুব দ্রুত আলফা নেতা ও সদস্যদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে পাকিস্তান। হয় বাংলাদেশের মাটিতে হবে নয়তো পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অতীতেই পরেশের নেতৃত্বে আলফা সদস্যদের জঙ্গি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান। সেই সময় বেশিরভাগ সময়ই প্রশিক্ষণ হত বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা চট্টোগ্রামর দুর্গম এলাকায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সেনা অভিযান চালিয়ে সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলি সক্রিয়া করা হয়েছে বলেও অনুমান ভারতীয় গোয়েন্দাদের।

একটি সত্রের দাবি, বর্তমানে চিনের ইউনান প্রদেশে রয়েছে পরেশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য পাকিস্তানে এসেছিলেন। আলফা নেতা নয়ন মেধীও বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে রয়েছেন। তিনি ও পরেশ পাকিস্তানের গুপ্তচর বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বলেও মনে করছে গোয়েন্দাদের একটি অংশ। পাকিস্তানি সামরিক প্রতিনিধিদলটি চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে যায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের প্রশিক্ষণে তৈরি রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা-র সঙ্গে যোগাযোগের আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। তবে ভারতের গোয়েন্দাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়ে বোঝাপড়া। যদিও পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের এই সফর গোপন রাখতে মরিয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তাই এই সফর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বাংলাদেশ।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের অনুমান বাংলাদেশ ভারত সংক্রান্ত তথ্য তুলে দেবে পাকিস্তানের হাতে। আর সেই তথ্যই ঘুরপথে পাকিস্তান হয়ে পৌঁছে যেতে পারে ইসলামাবাদের কাছে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক যেমন অস্বস্তিকর তেমনই চিনের সম্পর্কও স্থিতিশীল হয়। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা এখনও অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে প্রচুর জেহাদিজের জেল থেকে মুক্তি দিচ্ছে। তাই ভারতও সীমান্তে নিরাপত্তা ক্রমশই বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলটিতে আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক রয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা। রয়েছেন আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস মেজর জ‌েনারেল শহিদ আমির আফসার, যিনি আবার চিনে সামরিক অ্যাটাসে হিসাবে মোতায়েন ছিলেন। চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ভাল। বাংলাদেশে হসিনা সরকরের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতার সুর চড়ছে বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতি শিলিগুড়ির কাছে চিকেন'স নেক নামে পরিচিত জায়গাটি গোটা ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগের একমাত্র পথ। এই এলাকাটি দখল করার ও ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বিরোধীতা। বাংলাদেশ বিরোধীদের এই কাজে চিন আর পাকিস্তান পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলেও অনুমান ভারতীয় গোয়েন্দাদের। চিন আর পকিস্তন, বাংলাদেশের ভারত বিরোধিতা কাজে লগিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতেও একটা মরিয়ে প্রয়াস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।