সংক্ষিপ্ত
- দেশের নানা প্রান্তে খুলছে ৩০০০টি স্কুল
- অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
- খোলা হচ্ছে সিবিএসই-র ১৬টি আঞ্চলিক দফতরও
- তবে শুধুমাত্র খাতা দেখার জন্যই খুলছে স্কুল
দেশে চলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মধ্যেই দেশএর নানা প্রান্তে অবস্থিত ৩০০০টি স্কুল খোলার অনুমতি দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুধু তাই নয় সিবিএসই-র ১৬টি আঞ্চলিক দফতরকেও খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র।
আগামী জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সিবিএসই-র বাকি থাকা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ করবে কেন্দ্র। অগস্টের প্রথমার্ধেই ফল প্রকাশ করা হবে। সেই কারণে সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য এই ৩০০০ স্কুলকে মূল্যায়ন কেন্দ্র অর্থাৎ ইভালুয়েশন সেন্টার হিসেবে নির্দিষ্ট করে তা কোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতা দেখার জন্যই স্কুল খোলার এই অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র ৷ তবে স্কুলে খাতার দেখার কাজ করতে হবে সম্পূর্ণ কোভিড ১৯ গাইডলাইন মেনেই ৷
রেকর্ড গড়ে একদিনে আক্রান্ত ৪,২১৩, দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়াল ৬৭ হাজারের গণ্ডি
এপ্রিলে চাকরি হারিয়েছেন ২ কোটি, বেকারত্ব সামাল দিতে এবার এইচ-ওয়ান বি ভিসা বন্ধের পথে আমেরিকা
করোনা ক্লান্ত বিশ্বে ফের আশার আলো, সবার আগে ভ্যাকসিন আনার দাবি করছে ইতালি
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন, ৩০০০টি স্কুল খাতা দেখার জন্য খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ ১.৫ কোটিরও বেশি পরীক্ষার উত্তরপত্র ইতিমধ্যেই দেখার জন্য পৌঁছে গিয়েছে শিক্ষকদের কাছে ৷ আগামী ৫০ দিনের মধ্যে খাতা দেখা ও মার্কশিটের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷
তবে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, স্কুল খুললেও এইসময় কোনওরকম ক্লাস নেওয়া যাবে না ৷ করোনাভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হলে মাঝপথেই স্থগিত করে দেওয়া হয় সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা ৷ ফলে সমস্যায় পড়েন লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী। আগামী ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে মূল ২৯টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ৷ বাকি ঐচ্ছিক বিষয়গুলির নম্বর স্কুলের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে দেওয়া হবে। মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তিতে পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকরা।
অন্যদিকে, পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিএসই বোর্ড। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র এতদিন ধরে স্পট ইভালুয়েশন দেখা হত, অর্থাৎ একসঙ্গে একাধিক শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতেন। তবে দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেছে আইসিএসই বোর্ড। সম্প্রতি বোর্ডের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে আইসিএসই- আইএসসির যাবতীয় উত্তরপত্র শিক্ষকরা বাড়িতে বসেই মূল্যায়ন করবেন ৷ পরে মূল্যায়ন করা উত্তরপত্র অনলাইনের মাধ্যমে আপলোড করে দেবেন শিক্ষকেরা।