সংক্ষিপ্ত
- ফের গণপিটুনিতে হত্যা যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে
- এইবার ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার এক আইনজীবী
- ইট, রড ও পাথর দিয়ে থেঁতলে মারা হয় তাঁকে
- এই নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আইনজীবী মহলে
গতবছর ডিসেম্বরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন তাঁর রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উন্নত। এমনকী, এর জন্য প্রশাসক হিসেবে তাঁর প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, ফের এক গণপিটুনি-তে হত্যার ঘটনা ঘটল তাঁর রাজ্যে। এবার হিংসার শিকার এক ৩২ বছর বয়সী আইনজীবী।
মঙ্গলবার গভীর রাতে খোদ রাজধানী লখনউ-এর দামোদর নগর এলাকায় পাঁচজন মিলে আইনজীবী শিশির ত্রিপাঠিকে ইট, রড ও পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে, পুলিশ জানিয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই হত্যা। মূল অভিযুক্ত-ও আরেক আইনজীবী। তার নাম বিনায়ক ঠাকুর। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও তার সঙ্গে থাকা অন্য চার অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মূল অভিযুক্ত বিনায়ক ঠাকুর এবং আরেক অভিযুক্ত মনু তিওয়ারি নিহত আইনজীবী শিশির ত্রিপাঠির সঙ্গে সম্পত্তির লেনদেনে জড়িত ছিলেন। এই নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ বাধে, আর সেখান থেকেই এই হত্যার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে শিশিরের সঙ্গে বিনায়ক ও তার সহযোগীদের কথাবার্তা হতে হতে তা তর্ক-বিতর্কের পর্য়ায়ে পৌঁছায়। এরপরই একেবারে শিশির মরে না যাওয়া পর্যন্ত তাঁকে বেপরোয়াভাবে মারা হয় বসলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিন আইনজীবি হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লখনউয়ের আইনজীবীরা পুলিশি নিরাপত্তার অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বের করেন। সেই মিছিল থেকে আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও নিহত আইনজীবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
তারপরই আইনজীবী শিশির ত্রিপাঠির পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া লখনউ বার অ্যাসোসিয়েশন এবং সেন্ট্রাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৫০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে অবহেলার জন্য ১ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পলাতক ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য এখনও পর্যন্ত ৪৫ টি জায়গায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।