সংক্ষিপ্ত
হরিয়ানার একটি টোল প্লাজায় চার সন্দেহভাজন খালিস্তানি সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার (khalistani Terrorists arrest) করা হয়েছ। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
খালিস্তানি জঙ্গীদের কার্যকলাপ রোধে সসময় সক্রিয় প্রশাসন। তাদের গতিবিধির উরর সব সময় রাখা হয় নজর। এবার ফের খালিস্তানি জঙ্গী সন্দেহে ৪ জনকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হরিয়ানার একটি টোল প্লাজা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম গরপ্রীত সিং, ভূপেন্দ্র, আমনদীপ এবং পারবিন্দর সিং। এই ঘটনা সামনে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কী কারণে এত পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা, কোথাও নাশকতার ছক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসেরারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে একটি সাদা টয়োটা ইনোভা এসইউভিতে করে দিল্লি যাচ্ছিল ওই ৪ জন। খবর পেয়ে হরিয়ানার কর্নালের বস্তারা টোল প্লাজার কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরাবরাহ করত বলে জানা গিয়েছে। এই চারজনের সাথে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিসের তরফে। মূল অভিযুক্ত গুরপ্রীত এর আগে জেলে গিয়েছে। যেখানে তার সাথে রাজবীর বলে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। তার পাকিস্কানের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিসের তরফে। ধৃতরা সকলেই পঞ্জাবের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকেই খালিস্তানি আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটলেও, ১৯৮০-র দশকে জারনেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের নেতৃত্বে পালে হাওয়া পেয়েছিল এই আন্দোলন। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছিল ব্যাপক হিংসা। যা অপারেশন ব্লু স্টার-এ ভিন্দ্রানওয়ালের মৃত্যুতেও শেষ হয়নি। এখনও ভারতে ও ভারতের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা সক্রিয়। ১৯৮০-র দশক থেকেই একের পঞ্জাব ও আশপাশের রাজ্যগুলিতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। তারপর বিগত কয়েক দশকে একাধিক জায়গায় একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে খালিস্তানি জঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তবে বৃহস্পতিবার ভোরে অস্ত্র ও বিস্ফোরক সহ চারজন গ্রেফতার করার ঘটনায় বড়সড় নাশকতার ছক বাঞ্চাল করা গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।