সংক্ষিপ্ত
- মহরমের দিন থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জাল বিছানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে
- তারমধ্যেও ফাঁক খুঁজে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে অন্তত ৪০ জন জঙ্গি
- তাদের সঙ্গে বেশ কিছু ভারী অস্ত্রশস্ত্রও রয়েছে বলে সন্দেহ
- পাক সেনার পক্ষ থেকেই এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সেনার
মহরমের দিন থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জাল বিছানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু তারমধ্যেও ঠিক ফাঁক খুঁজে নিয়ে উপত্যকায় ঢুকে পড়েছে অন্তত ৪০ জন জঙ্গি। এমনটাই জানিয়েছে কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে বেশ কিছু ভারী অস্ত্রশস্ত্রও রয়েছে বলে সন্দেহ বাহিনীর সদস্যদের।
ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ওই পার থেকে একের পর এক জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে পাক সেনা। এমনকী পাক সেনার পক্ষ থেকেই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে। জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়িয়ে উপত্যকার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।
গত কয়েক দিনে এই প্রচেষ্টা আরো বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেনার সূত্রটি জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একের পর এক জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপরেও কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণরেখা পার করতে সফল হয়েছে জঙ্গিরা।
এই সংখ্যাটা অন্তত ৪০ বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীরে বিভিন্ন এলাকায় তারা ছড়িযে পড়েছে। বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জায়গায় জায়গায় হানা গিয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে এই জঙ্গিদের। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে উপত্যকায় এখনও পর্যন্ত কোনও বড় মাপের সন্ত্রাসবাদি হামলা হতে দেখা যায়নি। এই অবস্থাটা কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দিতে চায় না সেনাবাহিনী।
এদিনই সোপোর জেলায় লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম বড় কমান্ডার আসিফকে গুলি চালিয়ে খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত সোমবার হুমকি পোস্টার দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আটজনকে। এই ৪০ জন জঙ্গির খোঁজও তাড়াতাড়িই পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।