সংক্ষিপ্ত

৪২ জন সাইকেল আরোহী, ১৩ থেকে ৫৯ বছর বয়সী, উদগীর থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ১৬০০ কিমি সাইকেল যাত্রায় বেরিয়েছেন। পরিবেশ এবং মাটি সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে এই অনন্য অভিযান প্রয়াগরাজ পৌঁছেছে।

মহারাষ্ট্রের উদগীর সাইক্লিং গ্রুপ পরিবেশ এবং মাটি সংরক্ষণের বার্তা দিতে ১৬০০ কিমি দীর্ঘ সাইকেল যাত্রার আয়োজন করেছে। এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা ২ জানুয়ারী ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজের সঙ্গম তীরে পৌঁছেছে, যাতে ৪২ জন সাইকেল আরোহী অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী সর্বকনিষ্ঠ সদস্য থেকে শুরু করে ৫৯ বছর বয়সী জ্যেষ্ঠ সদস্য পর্যন্ত রয়েছেন, যা মানুষের মধ্যে কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠেছে।

যাত্রার উদ্দেশ্য এবং পথ 

উদগীর সাইক্লিং গ্রুপ প্রতি বছর পরিবেশ সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যাত্রা আয়োজন করে। এই বছরের যাত্রা উদগীরের বিখ্যাত হনুমান মন্দির থেকে শুরু হয়ে ওয়ারাঙ্গা ফাটা, যবতমাল, নাগপুর, জব্বলপুর, প্রয়াগরাজ, এবং অযোধ্যার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে।

ইশা ফাউন্ডেশনের অভিযানের সঙ্গে যোগ 

এই দল ইশা ফাউন্ডেশনের 'আউটরিচ প্রোজেক্ট'-এর অংশ এবং প্রতি বছর মাটি সংরক্ষণের জন্য তাদের অবদান রাখে। এই যাত্রা ইশা ফাউন্ডেশনের 'সেভ সয়েল' অভিযানের সঙ্গেও যুক্ত। এর আগেও এই গ্রুপ কাবেরী আহ্বান র‍্যালি এবং কন্যাকুমারী থেকে কেরালা পর্যন্ত অনেক সফল অভিযানের অংশ ছিল।

উদগীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত গেছেন…

এর আগেও এই সাইকেল ক্লাব উদগীর থেকে কন্যাকুমারী, কেরালা, কোয়েম্বাটুর, তিরুপতি, জগন্নাথ পুরী এমন অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও এই সাইক্লিং ক্লাব ইশা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক বছর আগে নদী সংরক্ষণ এবং কাবেরী কলিং অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উদগীর সাইক্লিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সুনীল মমদাপুরে গত ২২ বছর ধরে প্রতি বছর ডিসেম্বরে সাইক্লিং যাত্রা করেন। এই ক্লাবে ১৩ বছর বয়সী যোগীরাজ থেকে শুরু করে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তি পর্যন্ত সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ ছাত্র, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, কেউ শিল্পী। সবাই নিজেদের অর্থ জমা করে প্রতি বছর এই অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন এবং আমাদের সমাজে একটা সক্রিয় পরিবর্তন আনার চেষ্টা প্রথমে নিজেদের থেকেই শুরু করেন।

পূর্ববর্তী অভিযানের অভিজ্ঞতা 

উদগীর সাইক্লিং গ্রুপের এটি প্রথম অভিযান নয়। গত ১৭ বছরে এই গ্রুপ অনেক সফল অভিযানের অংশ ছিল: দলের সদস্যদের অনুপ্রেরণা দলের সদস্য সাইনাথ কোরে, সুনীত মমদাপুরে, বাবান আন্না হাইবাতপুরে, এবং যোগীরাজ বারোলে অভিজ্ঞ সাইকেল আরোহী। তাদের বিশ্বাস, সমাজে ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।

আকর্ষণ: যাত্রার সমাপ্তি অযোধ্যায়

অযোধ্যা যাত্রার আকর্ষণ যাত্রার সমাপ্তি অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হবে, যা এই অভিযানের প্রধান আকর্ষণ। এই দল ইশা ফাউন্ডেশনের 'আউটরিচ প্রোজেক্ট'-এর অংশ, যারা প্রতি বছর পরিবেশ এবং মাটি সংরক্ষণের জন্য অভিযান চালায়।

দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির এক জ্বলন্ত উদাহরণ

সমাজে বার্তা এই যাত্রা সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গ্রুপের সদস্যরা শুধু সাইক্লিং-এর প্রতি নয়, পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতিও সচেতনতা ছড়িয়েছে। এই যাত্রা অনুপ্রেরণার এক জ্বলন্ত উদাহরণ, যা শেখায় যখন ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় হয়, তখন বয়স এবং দূরত্ব শুধু সংখ্যা হয়েই থেকে যায়।

কে কে এই অনন্য যাত্রার অংশীদার

সদস্যদের অবদান এবং প্রশংসা গ্রুপে শিল্পী সচিন শিবাজী পেন্ডেলকার, সাইনাথ কোরে, সুনীত মমদাপুরে, বাবান আন্না হাইবাতপুরে, এবং যোগীরাজ বারোলে-র মতো অভিজ্ঞ সাইকেল আরোহীরা রয়েছেন। তাদের পরিশ্রম এবং আগ্রহকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রশংসা করেছেন। তাদের বিশ্বাস, সমাজে ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।

পরিবেশের প্রতি প্রতিশ্রুতি গত ১৭ বছর ধরে এই গ্রুপ বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিকমুক্ত জীবন, এবং মাটি সংরক্ষণের মতো অভিযানের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে চলেছে। এইবারের যাত্রা অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।