সংক্ষিপ্ত

৫৫তম জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে তামাকজাত পণ্য ও পনীরের উপর জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্যাকেটজাত পানীয় জল, সাইকেল, নোটবুক, জুতা ও হাতঘড়ির উপর জিএসটি কমতে পারে। এই পরিবর্তনগুলি মধ্যবিত্তের জীবনে কী প্রভাব ফেলবে তা এখনও দেখার বিষয়।

বছর শেষে হল GST কাউন্সিল বৈঠক। এই বৈঠকের পরেই বড় সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। কোন জিনিসের দাম বাড়বে বা কোনওটার দাম কমবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শনিবার রাজস্থানের জয়সালমীরে বসেছিল ৫৫তম GST কাউন্সিল বৈঠক। যেখানে কয়টি বিষয় আলোচনা হয়েছে।

সূত্রের খবর, তামাকজাত পণ্য ও পনীর পণ্যের ওপর GST বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হয় প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর। বিলাসবহুল পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। বর্তমানে তামাক ও সিগারেট জাতীয় পণ্যের ওপর ২৮ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে। তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। লাক্সরি পণ্যের ওপর জিএসটি ছিল ১৮ শতাংশ। যা বেড়ে ২৮ করার প্রস্তাব দেওযা হয়েছে।

তেমনই জিএসটি কমতে পারে প্যাকেটজাত পানীয় জল, সাইকেল ও নোটবুক, জুতো ও হাত ঘড়ির ওপর। প্রবীণ নাগরিকদেরও বিমার প্রিমিয়ামে জিএসটি মকুব হতে পারে। ২০ লিটার বা তার বেশি প্যাকেজ করা পানীয় জলে জিএসটি ১৮ থেকে কমে ৫ শতাংশ হতে পারে। হাজার টাকার কম দামের সাইকেলের দামে জিএসটি ১২ থেকে কমে ৫ শতাংশ হতে পারে।

সব মিলিয়ে আগামী বাজাট যে মধ্যবিত্তের জীবনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। জিএসটি বাড়লে অধিক খরচ হবে। তেমনই আপাতত যে সকল পণ্য সস্তার হবে বলে শোনা যাচ্ছে তাতে তেমনই যে উপকার হবে বলে মনে করছেন না অনেকেই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।