সংক্ষিপ্ত
কর্নাটকের সাতটি আশ্চর্য স্থানের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসব রাজ বোমাই। গত এক বছর ধরেই বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে বেছে নেওয়া হয়েছে স্থানগুলিকে।
'এক রাজ্য বহু বিশ্ব' স্লোগানকে কার্যকরী করে কর্নাটক এবার রাজ্যের সপ্তম আশ্চর্য-র তালিকা প্রকাশ করেছে। কর্নাটক সরকারের সঙ্গে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিল এশিয়ানেট সুবর্না নিউজ, কন্নড় প্রভা। কর্নাটকের সপ্তম আশ্চর্য নির্ণয় করার জন্য তারা নিবীড় প্রচার করেছিল। বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মত কর্নাটকেরও সাতটি আশ্চার্য নিদর্শন বেছে নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছিল।
শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই রাজ্যের জনগণের বেছে নেওয়া সেরা সাতটি স্থানের তালিকা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ান্ডারস ক্যাম্পেইনের অ্যাম্বাসেডর, অভিনেতা রমেশ অরবিন্দ, পর্যটন মন্ত্রী আনন্দ, এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা, কন্নড় প্রভা সম্পাদক রবি হেগড়ে, এশিয়ানেট সুবর্ণনিউজ সম্পাদক অজিত হানামাক্কানাভার অনেক বিশিষ্টজন।
এক নজরে রাজ্যের সপ্তম আশ্চর্য
১. হাম্পি
২. গোমাতেশ্বর
৩. গোল গম্বজ
৪. হিরাবনকাল রক টুম্বস
৫. মহীশূর প্রসাদ
৬. জোগ জলপ্রপাত
৭. নেত্রানী দ্বীপ
এদিনের অনুষ্ঠানে কর্নাটকের জেলা কমিশনারদের কাছে শংসাপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসবরাজ কর্নাটকের সাতটি আশ্চর্য স্থানের নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন তিনি নতুন পর্যটন মডেল তৈরির লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছেন। তিনি হিরেবাঙ্কলের উন্নয়নের ওপরেও জোর দিয়েছেন। বলেছেন এটিও সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে পড়ে। তিনি জেলা শাসকদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলি উন্নয়নের ব্লুপ্রিন্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন ।
বাসবরাজ বোমাইয়ে সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী আনন্দ সিং। তিনি বলেছেন আরও কাজের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বের মতই রাজ্যের সপ্তম আশ্চর্যক সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে যে দলই ক্ষমতায় আসুন না কেন সেই দলকেই সংশ্লিষ্ট স্থানের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। এই স্থানগুলি আগামী দিনে রাজ্যের পর্যটন বাড়াবে। সরকারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পর্যটন দফতরকে একত্র হয়ে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এশিয়ানেট সুবর্না নিউজ ও কন্নড় প্রভা ২০২২ সালের মে মাস থেকে সপ্তম আশ্চর্য নিয়ে প্রচার শুরু করেছিল। ভূমি, জল, বন, সমুদ্র, স্থাপত্য, বিজ্ঞান, ভাস্কর্য, শিল্প, ইতিহাস, ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই স্থানগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। কর্ণাটকের ৭ আশ্চর্য'-এর জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি স্থানকে মনোনীত করা হয়েছিল। অভ্যন্তরীন বিচারক প্যানেলের সদস্যদের পর্যালোচনার পরে ১০০ টি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর ১০০টি জায়গার মধ্যে গণভোট করা হয়। ৮২ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করেছিল।
এভাবেই বেছে নেওয়া হয়েছিল ২১টি স্থানকে। তারমধ্যে যারা সর্বাধিক ভোট পেয়েছে তারা চূড়ান্ত রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এক বছরব্যাপী সাইটের পর্যবেক্ষণের পরে সাইটগুলিকে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা সাত দফা মানদণ্ড সামনে থেকেই স্থানগুলিকে বেছে নিয়েছিলেন। স্থানগুলি হল ইতিহাস, নির্মাণ এবং ব্যবহৃত উপকরণ, বৈশিষ্ট্য এবং স্বতন্ত্রতা, সৌন্দর্য এবং শৈল্পিকতা, মহিমা এবং স্থানগুলির বর্তমান অবস্থা।
আরও পড়ুনঃ
পুলিশের যোগসাজশেই বগটুই হত্যাকাণ্ড? কী বলছে কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা