সংক্ষিপ্ত

বগটুই গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। গ্রামে দিয়ে কথা বলেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। দলে রয়েছে ৬ প্রতিনিধি।

 

বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান কমিটির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। শনিবার দুপুরে তারা রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আসেন। কথা বলেন গণহত্যায় স্বজনহারা মিহিলাল শেখ ও তার আত্মীয়দের সঙ্গে।

শুক্রবার বোলপুরে আসেন কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা। শনিবার প্রথমে সিউড়িতে বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছয়। দলে রয়েছেন পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল। ব্যাঙ্কের ভুয়ো আকাউন্ট তৈরি এবং কোটি কোটি টাকা লেনদেনর বিষয় গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তারা। কিন্তু ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তারা সোজা চলে আসেন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সেখানেই কথা করা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সজনহারাদের সঙ্গে। ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে খুন হন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। তার বদলা নিয়ে বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে দশ জন মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার অনুসন্ধান করতেই এদিন কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা গ্রামে যান। কথা বলেন মিহিলাল শেখের সঙ্গে। মিহিলাল ভয়াবহ দিনের কথা জানান কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে।

নরসিমা রেড্ডি বলেন, “এখানে যা ঘটেছে সেটা কল্পনার অতীত। ভাবতে পারছি না। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। মহিলা, শিশু, বৃদ্ধাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের যোগসাজশ ছাড়া এমন নৃশংস হত্যা হতে পারে না। আমরা রিপোর্ট তৈরি করে নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দেব”।

তবে বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ও প্রত্যক্ষদর্শী লালন শেখের মৃত্যু হয় রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে। ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। কী করে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছিল তার তদন্তও চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা লাল শেখের মৃত্যুর পর থেকে কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে গেছে বগটুই মামলা। কারণ ভাদু শেখের ডান হাত ছিল লালন। ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের সেই ছিল মূল প্রত্যক্ষদর্শী। অন্যদিকে ভাদু শেখের হত্যার বদলা নিতে তারই নেতৃত্বে গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যাইহোক লালন শেখের মৃত্যুর পরেও উত্তাল হয়েছিল গোটা এলাকা। লালন শেখের পরিবারের অভিযোগ ছিল তার স্বামীকে সিবিআই প্রবল অত্যাচার করেছিল। মিথ্যা বয়ান দিতেও চাপ দেওয়া হয়েছিল। তবে লালন শেখের মৃ্ত্যুর পরই রামপুরহাটের সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পও বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তিনজনকে।