সংক্ষিপ্ত

              জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা
              ভারত, চীনের মত এশিয় দেশ জনসংখ্যার ভারে রীতিমত টালমাটাল
              বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এক সমীক্ষা করে ইউ সি ব্রাউজার
              সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ মানুষ এক সন্তান নীতি লাঘু করার পক্ষে 

এই মুহূর্তে সমগ্র বিশ্বের অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা ক্রমাগত বেড়ে চলা বিপুল জনসংখ্যার চাপ। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭৭০ কোটি অতিক্রম করে গিয়েছে। সারা বিশ্বের মোট জনভাগের অধিকাংশেরই বাস ভারত, চিনের মত এশিয় দেশে। রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যেই ভারত জনসংখ্যার নিরিখে চিন-কে পেছনে ফেলে পৃথিবীর সবথেকে জনবহুল দেশের খেতাব লাভ করতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, পরিশ্রুত পাণীয় জলের অভাব প্রকট হচ্ছে দেশের নানান প্রান্তে। এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোন দৃঢ় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতের জন্য তার ফলশ্রুতি মারত্মক হতে পারে। মাশুল গুনতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। 
১১ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে ইউ সি ব্রাউজার তাদের ভারতীয় গ্রাহক বা ইউজার-দের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালায়, যার বিষয় ছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতের ও কি উচিত চিনের মত এক সন্তান নীতি লাগু করা?
ইউ সি ব্রউজারের দাবি তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। প্রায় ৭০ শতাংশ ইউজার সমীক্ষায় জানিয়েছেন তারা দেশে ১ সন্তান নীতি লাগু করার পক্ষে। এছাড়াও অনেকের মতে একাধিক সন্তানের জন্ম দিলে শিশুর মা-বাবা-র বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। মোট ৪৫ হাজার ইউজার সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। 
এই বিপুল জনসংখ্যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ছে দেশের উন্নতিকল্পে। স্বল্প-বৃষ্টির ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ প্রবল জলকষ্টের সঙ্গে যুঝছে । ২০১৬ সালে  ডাব্লু এইচ ও র করা একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছিল  বিশ্বের সবথেকে দূষিত ২০ টি শহরের মধ্যে ১৪টির অবস্থান ভারতবর্ষে। ওয়াটার এইড  সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর মোট পাণীয় যোগ্য জলের ২৪ শতাংশ উত্তোলন ভারতবর্ষে ঘটে,  অন্যদিকে মাত্র ৬ শতাংশ বৃষ্টির জল সংরক্ষিত হয়। এবং এই সমস্ত সমস্যার মূলে রয়েছে লাগামছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এখনও যদি সমস্যার মোকাবিলায় সরকারের  ঘুম না ভাঙে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে অকল্পনীয় সমস্যার সন্মুখিন হতে হবে আমাদের।