সংক্ষিপ্ত

লোকাল সার্কেল উত্তরপ্রদেশের ৫১টি জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে ৭০ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পেয়েছে৷ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ মহিলা ছিলেন।  

২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৭৩টি আসনে জয়ী হয়ে উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার আবার ক্ষমতায় এসেছে। যদিও কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবকে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপির শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেছিলেন। তবে সব পাশার দান উলটে গিয়েছে।

সমীক্ষা সংস্থা লোকাল সার্কেলস, গত ৯০ দিন ধরে, যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তর প্রদেশ সরকারের পাঁচ বছরের একটি বিস্তৃত মূল্যায়ন পরিচালনা করছে। লোকাল সার্কেল উত্তরপ্রদেশের ৫১টি জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে ৭০ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পেয়েছে৷ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ মহিলা ছিলেন।  

সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ বলছেন উত্তরপ্রদেশের প্রধান সমস্যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি - গত পাঁচ বছরে উন্নতি হয়েছে৷ একইভাবে, ৭৬% মানুষ বলেছেন যে তাদের জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বড় মার্জিনে জয় পেয়েছে বিজেপি। এবারের ভোটে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) যোগী আদিত্যনাথই (Yogi Adityanath) ছিলেন বিজেপি-র মুখ, নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নন। সেটা অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তাকে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে নামে গেরুয়া শিবির (BJP)। আর অনিবার্যভাবে যোগী প্রচারপর্বে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ তুলেছেন। সেই ফাটকা সাফল্য পেয়েছে। যদিও যোগী বিভাজনের চেষ্টা করেছেন বলেও সাফ দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের। 

উত্তরপ্রদেশের ভোটাররা বিজেপিকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। প্রথমবারের জন্য পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। যা রাজ্যের ইতিহাসে নতুন ঘটনা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি সেমিফাইনাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে। উত্তরপ্রদেশ লোকসভায় সর্বাধিক সংখ্যক আসনের রাজ্য। তারওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী। 

এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের জন্য বিদ্যুতের ঘাটতি ঐতিহাসিকভাবে অন্যতম প্রধান সমস্যা ছিল। ২০২০ সালের অগাস্টের শেষ পর্যন্ত বিদ্যুতহীন পরিবারের সংখ্যা ২,৫৩,৭৮৫-এ দাঁড়িয়েছে৷ যোগী সরকার দাবি করেছে যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণকে সুবিন্যস্ত করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ আইন-শৃঙ্খলার মতো, নাগরিকরা গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে তাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছে।