- Home
- India News
- 8th Pay Commission: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত বৃদ্ধি পেয়েছে?
8th Pay Commission: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন কত বৃদ্ধি পেয়েছে?
অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে বিরাট আপডেট।

৮ম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন (8th Pay Commission)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারী প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বেতন এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীর ভাতা সংশোধনের জন্য ৮ম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে।
সূত্রের খবর, বেতন প্যানেল ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৯২ থেকে ২.৮৬ এর মধ্যে থাকবে
যদি ২.৮৬ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের সুপারিশ অনুমোদন পায়, তাহলে একজন সরকারি কর্মচারীর ন্যূনতম মূল বেতন প্রতি মাসে ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা হবে। ওদিকে ঠিক একই ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ন্যূনতম পেনশন বর্তমানে ৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫,৭৪০ টাকা হবে।
পূর্ববর্তী সাতটি বেতন কমিশন দ্বারা প্রস্তাবিত সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বেতন ঠিক কেমন ছিল?
দেখে নিন একনজরে।
সপ্তম পে কমিশন (ফেব্রুয়ারি ২০১৪ - নভেম্বর ২০১৬)
সর্বনিম্ন বেতন ১৮,০০০ টাকা/মাসে বৃদ্ধি এবং সর্বোচ্চ বেতন ২,৫০,০০০ টাকা/মাসে। গ্রেড পে সিস্টেমের পরিবর্তে নতুন বেতন ম্যাট্রিক্সের সুপারিশ ভাতা এবং কর্মজীবনের ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে তা তৈরি করা হয়। সুবিধাভোগী: ১ কোটিরও বেশি, পেনশনভোগী সহ।
ষষ্ঠ পে কমিশন (অক্টোবর ২০০৬ - মার্চ ২০০৮)
চালু হয় পে ব্যান্ড এবং গ্রেড পে। সর্বনিম্ন বেতন: ৭,০০০ টাকা/মাসে এবং সর্বোচ্চ বেতন ছিল ৮০,০০০ টাকা/মাসে। অপরদিকে কর্মক্ষমতা সম্পর্কিত বিষয়ে জোর দেওয়া হয় এবং সুবিধাভোগী: প্রায় ৬০ লক্ষ কর্মী।
পঞ্চম পে কমিশন (এপ্রিল ১৯৯৪ - জানুয়ারি ১৯৯৭)
সর্বনিম্ন বেতন ২,৫৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ২৬,০০০ টাকা/মাসে করার সুপারিশ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, বেতন স্কেলের সংখ্যা কমানোরও পরামর্শ দেওয়া হয় সেইবার। তাছাড়া সরকারি অফিস আধুনিকীকরণের উপরেও জোর দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগী: প্রায় ৪০ লক্ষ কর্মী।
চতুর্থ পে কমিশন (সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ - ডিসেম্বর ১৯৮৬)
সর্বনিম্ন বেতন ৭৫০ টাকা/মাস, সর্বোচ্চ ৮,০০০ টাকা/মাস করার সুপারিশ করা হয়। ওদিকে আবার পদমর্যাদার বেতন বৈষম্য কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বেতন কাঠামো চালু করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগী প্রায়: ৩৫ লক্ষেরও বেশি কর্মচারী।
তৃতীয় পে কমিশন (এপ্রিল ১৯৭০ - মার্চ ১৯৭৩)
প্রস্তাবিত সর্বনিম্ন বেতন ১৮৫ টাকা/মাস এবং সর্বোচ্চ ৩,৫০০ টাকা প্রতি মাসে। সরকারি এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে বেতন সমতার উপর জোর দেওয়া হয় এবং বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করা হয়। এক্ষেত্রে সুবিধাভোগী: প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মী।
দ্বিতীয় পে কমিশন (অগাস্ট ১৯৫৭ - অগাস্ট ১৯৫৯)
অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার উপর লক্ষ্য রেখেই সর্বনিম্ন মজুরি ৮০ টাকা/মাসিক এবং সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা প্রতি মাসে সুপারিশ করা হয়। 'সমাজের সমাজতান্ত্রিক ধরণ' চালু করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগী:ছিলেন প্রায় ২৫ লক্ষ কর্মচারী।
প্রথম পে কমিশন (মে ১৯৪৬ - মে ১৯৪৭)
ভারতের স্বাধীনতার পর বেতন পরিকাঠামোকে সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত করে তোলার উপর বিশেষ নহর দেওয়া হয়েছিল। তখন "জীবিকা মজুরি" ধারণাটি চালু করা হয়েছিল এবং সর্বনিম্ন বেতন: ৫৫ টাকা/মাসে ও সর্বোচ্চ বেতন: ২০০০ টাকা/মাসে ছিল। সুবিধাভোগী: প্রায় ১৫ লক্ষ কর্মী।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

