সংক্ষিপ্ত

  • রাজস্থানের বারমেরে গণধর্ষণ
  • নির্যাতিতা নাবালিকা হাসপাতালে 
  • ধর্ষণের ভিডিও করা হয় বলে অভিযোগ
  • বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কংগ্রেস 


হাথরসের মতই ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের বারমের। সেখানে পরিবারের অজান্তেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ১৫ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেল। রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হওয়া নির্যাতিতা এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। যদিও বারমের জেলা শাসকের তরফ থেকে উপযুক্ত তদন্ত আর দোষীদের গ্রেফতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

বাবা আর মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সরপঞ্জ নির্বাচনে ভোট দিতে। সেই সময় বারমেরে নিজের বাড়িতে একাই ছিল ১৫ বছরের নাবালিকা। দুই যুবক বাইকে করে এসে চড়াও হত তাদের বাড়িতে। কিছুটা জোর করেই ১৫ বছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। প্রথমে এক যুবক যখন নির্যাতিতা তরুণীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল তখন অন্যজন সেই ঘটনার ভিডিও শ্যুট করছিল। পরবর্তীকালে অন্য যুবক ধর্ষণ করে। তারও ভিডিওগ্রাফি করা হয়। তারপর তাঁরা মেয়েটিকে রাস্তার ধারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়। 


বাড়ি ফিরে বাবা মা নাবালিকাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু নাবালিকার কোনও সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। মধ্যরাতে স্থানীয় একটি রাস্তার ধার থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল নির্যাতিতাকে পুলিশ যখন উদ্ধার করে তখন সে বেঁহুশ ছিল। সারা গায়ে ছিল আঘাতের দাগ। নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নাবালিকা নির্যাতিতা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর তরুণী সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত দুই যুবককে সে চেনে না বলেই দাবি করা হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণ আর খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যোগীর পুলিশের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থানের এই ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রীতিমত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের কোনও নেতাই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি বলেই অভিযোগ বিজেপির।