CRPF Munir Ahmed News: চরমে ভারত-পাক উত্তেজনা। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত দুই দেশের পরিস্থিতি। অবিলম্বে পাকিস্তানের নাগরিকদের। জানুন আরও…       

CRPF Munir Ahmed News: চরমে ভারত-পাক উত্তেজনা। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত দুই দেশের পরিস্থিতি। অবিলম্বে পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার (Narendra Modi Govt)। এরই মধ্যে বৈধ ভিসা ছাড়াই পাক বধূকে নিজের দেশে রাখার অভিযোগ উঠল খোদ সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে (CRPF Jawan)। অভিযুক্ত ওই জওয়ানের নাম মুনির আহমেদ (Munir Ahmed)।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জওয়ান মুনির আহমেদ পাকিস্তানী তরুণীকে বিয়ে করে নিজের দেশেই রেখে দিয়েছিল। ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছিল ওই তরুণীর। তারপরও ভারতে থেকে গিয়েছিল সে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। তাতেই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে ওই জওয়ানকে।

সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা মিনাল খানের আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা হয় অনলাইনে। বিয়ে হয় ২০২৪ সালের মে মাসে। অনলাইনে ভারচুয়াল বিয়ে (নিকাহ) করেন মুনির ও মিনাল। গত মার্চ মাসে ভারতে আসেন মুনাল। ওই মাসের ২২ তারিখে তাঁর ভিসা ফুরিয়ে যায়। মিনালের আইনজীবী দাবি করেন, দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করেছেন মক্কেল। এর মধ্যে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলা হয়। যার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরতে বলা হয়। বাধ্য হয়ে অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফিরছিলেন মিনাল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আদালতের নির্দেশে ভারতে থাকার অনুমতি পান তিনি। আপাতত ১০ দিনের মেয়াদে তাকে ভারতে থাকার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

এদিকে, মুনীর আহমেদ জানিয়েছেন যে, গত বছর ৩০ এপ্রিল, বিয়ের প্রায় এক মাস আগে তিনি সিআরপিএফের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, "প্রথম দিকে আমি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আমার বরখাস্তের বিষয়ে জানতে পারি। এর কিছুদিন পরেই আমি সিআরপিএফের কাছ থেকে একটি চিঠি পাই যেখানে বরখাস্তের কথা জানানো হয়। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কারণ, আমি সদর দফতর থেকে এক পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম এবং তা পেয়েছিলাম।"

Scroll to load tweet…

তিনি আরও বলেন, ''আমি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম পত্রালাপ করি এবং আমার পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা (সিআরপিএফ)-কে জানাই। আমাকে কিছু নিয়মকানুন পূরণ করতে বলা হয়... এবং অবশেষে ২০২৪ সালের ৩০শে এপ্রিল সদর দফতর থেকে সবুজ সংকেত পাই। তারপরেই আমি বিয়ে করি। কিন্ত কেন আমাকে বরখাস্ত করা হয় তা জানি না। চাকরি ফিরে পেতে আমি আদালতে যাব।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।