সংক্ষিপ্ত

  • আট বছর পরে ফের জুন মাসেই আবার জ্যোতির্ময় দে খুনের স্মৃতি ফিরে এল মুম্বইয়ে।
  • ভয়াবহ এক খুনের ঘটনায় সন্ত্রস্ত গোটা মুম্বই।

২০১১ সালের ১১ জুন। নিজের বাড়ির কাছেই গুলি করা হয় মুম্বইয়ের সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-কে। 'সুপারি' পেয়েই তাঁকে খুন করেছিল ছোটা রাজন। আট বছর পরে ফের জুন মাসেই আবার সেই স্মৃতি ফিরে এল মুম্বইয়ে। ভয়াবহ এক খুনের ঘটনায় সন্ত্রস্ত গোটা মুম্বই।

মঙ্গলবার ভোররাতে নিজের ফ্ল্যাটে গলার নলি কেটে খুন করা হল মুম্বই নিবাসী ৩৮ বছর বয়সি সাংবাদিক আনন্দ নারায়নকে।

আন্তপ হিল অঞ্চলের বাসিন্দা আনন্দের প্রতিবেশিরা এদিন রাত দুটো নাগাদ আনন্দের আর্তনাদ শুনতে পান। আনন্দের পেন্টা গ্যালাক্সি আবাসনের সাত তলা থেকে 'বাঁচাও' চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়।  ততক্ষণাৎ ছুটে যান আনন্দের প্রতিবেশিরা। পুলিশকেও ডাকা হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্তম্ভিত আনন্দের প্রতিবেশিরা দেখেন ফ্ল্যাটের লাগোয়া পুলের ধারে শোয়ানো আনন্দের দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাঁর দেহ। তড়িঙঘরি তাকে লোকমান্য তিলক জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করেন। 

ঘটনার তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশ, জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের বড়কর্তা রাজীব ওয়াভল । 

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আনন্দের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে,  তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি রাত ২টো নাগাদ আবাসনে প্রবেশ করছে। আনন্দের মৃত্যুর পিছনে এই তিনজনই দায়ী, এমটাই সন্দেহ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত মিড ডে পত্রিকার বিকাল বিভাগের সম্পাদক জ্যোতির্ময় দে অপরাধ জগতের বহু তথ্য তুলে এনেছিলেন নিজের লেখনিতে। ছিল রাজেন্দ্র এস নিখিলাজ তথা ছোটা রাজন বিষয়ক তথ্য। তাই বদলা নিতেই খুন করা হয় তাঁকে। আনন্দও কি এমনই কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে বিপদে পড়লেন, জল্পনা গোটা মুম্বইয়ে।