সংক্ষিপ্ত

  • বিয়ের পরে হানিমুন ক্যান্সেল
  • সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারে ব্যস্ত এক নবদম্পতি
  • দুজনে মিলেই হাত লাগিয়েছেন সাফাইয়ের কাজে
  • তাঁদের এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাস সোশ্যাল মিডিয়ায়

প্রতি মুহূর্তে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কখনও গাড়ির ধোঁয়ায় তো কখনও রাস্তা ঘাটে আবর্জনা ফেলার জন্য। সুমুদ্রের ধারেও দেখতে পাওয়া যায় আবর্জনার স্তুপ। যার দিকে ফিরেও তাকায় না কেও। তবে এবার তেমনই আবর্জনা পরিষ্কার করতে দেখা গেল এক নবদম্পতিকে।

বিয়ের পরে সবাই সাধারণত হানিমুনেই যায় তবে এবার দেখা গেল অন্য এক ছবি। নব বিবাহিত এক দম্পতিকে দেখা গেল সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করতে। কর্নাটকের বাসিন্দা অনুদীপ হেগড়ে এবং তাঁর স্ত্রী মিনুশা কাঞ্চনা দু'জনে মিলেই পরিষ্কার করছেন সু্মদ্র সৈকত। তাঁদের এই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাতে গ্লাবস পরে আবর্জনা পরিষ্কারে রীতিমতন ব্যস্ত তারা। মিনুশার গ্লাবসের নীচ দিয়েই দেখা গেল তাঁর হাতের মেহেন্দিও।  

আরও পড়ুন- বিবেকানন্দর বাণী, রবীন্দ্রনাথের বাংলা কবিতা - মোদীর বক্তৃতা জুড়ে দুই বাঙালি মণিষী

আরও পড়ুন- আরও একটা মানবাধিকার দিবস, মুক্তি পেলেন না কবি ভারাভারা রাও সহ বহু বন্দি

 

কর্ণাটকের বাসিন্দা অনুদীপ হেগড়ে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং সংস্থায় কাজ করেন এবং প্রকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণেও তাঁর গভীর আগ্রহ। তাঁদের বিয়ের পরে অনুদীপ এবং মিনুশা কর্ণাটকে সোমেশ্বর সৈকতও ঘুরতে যান এবং সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন সমুদ্র সৈকত একেবারেই পরিষ্কার নয়বরং সেখানে আবর্জনার স্তুপ দেখতে পান তারা। অনুদীপ এবং মিনুশা সমুদ্র সৈকতের ওই অবস্থা দেখে একরকম অবাকই হয়ে যান প্রথমে পরে তারা ঠিক করেন তাঁদের হানিমুন বাতিল করে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করবেন। 

View post on Instagram
 

অনুদীপ বেশ কয়েকটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান প্রায় ৮০০ কেজিরও বেশি বর্জ্য পদার্থ সেখানে ছিল যা তারা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করেছে। তাঁরা এই কাজটাকে বিবাহ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন এবং ১০ দিনের চেষ্টায় তাঁরা সেখান থেকে সেই আবর্জনা পরিষ্কার করেন। তাঁদের দুজনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজটা শুরু হলেও এখন অনেকেই এই কাজে তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাঁদের এই কাজ অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে এখন অনেকের কাছেই। এছড়াও তারা এই কাজ করতে পেরে খুশি। অনুদীপ জানিয়েছেন মানুষকে পরিবেশ নিয়ে সচেতন করতেই তাঁর এই উদ্যোগ এবং তিনি আশা করছেন ভবিষ্যতে এর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অনেকেই পরিবেশের ব্যাপারে সচেতন হবেন।