সংক্ষিপ্ত
- বন্যার জেরে বিপর্যস্ত অসমের বন্যপ্রাণ
- এখনও পর্যন্ত মৃত অন্তত ৫০টি প্রাণী
- বন্য প্রাণীরা এখন এক টুকরো আশ্রয়ের খোঁজে
- কীভাবে সামাল দেওয়া হবে পরিস্থিতি, সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন
বন্যাবিধ্বস্ত অসমের একদিকে যেমন বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন, তেমনই অন্যদিকে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রাণীদে র জীবনও এখন সংকটের মুখে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯০ শতাংশই নাকি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয়ের জন্য এদিক ওদিক ছুটে চলেছে বন্য প্রাণীর দল। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৯০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘ শুকনো জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে।
বন্যার ফলে বিশ্বের ঐতিহ্যপূর্ণ জাতীয় উদ্যানের যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তা দেখে কার্যত হতবাক সাধারণ মানুষ। বুনো মহিষের দল বন্যার জলের মধ্যে দিয়েই শুস্ক স্থানে যাওয়ার হওয়ার চেষ্টা করছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান মূলত বিখ্যাত এক শৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য, সেই গণ্ডারদের কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেল এক টুকরো শুকনো জমির ওপর। জঙ্গলের হাতিরা চলে এসেছে জাতীয় সড়কের ওপর। ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন জাতীয় সড়কের কাছে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে।
ঘর ছাড়লেই ভিটে হারানোর ভয়, বন্যার মধ্যেও এনআরসি আতঙ্ক
তবে বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে দুটি গণ্ডারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জাতীয় উদ্যানের বাইরে থেকে। সেইসঙ্গে একটি হাতি, দু'টি বুনো শুয়োর এবং একটি হরিণের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, যে এক শৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে, সেই এক শৃঙ্গ গণ্ডারের প্রাণই এখন সংকটের মুখে। প্রসঙ্গত সারা পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ গণ্ডারের বাসভূমি এই জাতীয় উদ্যান, সেখানে বন্যার কবলে পড়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।