সংক্ষিপ্ত
- উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন এলাকার ঘটনা
- গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা বাঘিনীর
- ঘটনায় ক্ষু্ব্ধ ব্যাঘ্র প্রেমীরা
জঙ্গলের বুক চিড়ে ছুটে গিয়েছে হাইওয়ে। অথচ সেই রাস্তা দিয়ে জঙ্গলের একপাশ থেকে অন্য পাশে যাতায়াত করে বন্যপ্রাণীরা। কিন্তু গাড়ির গতিবেগে হ্রাস টানার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ফল যা হওয়ার তাই হল। গাড়ির ধাক্কায় তিনটি গর্ভস্থ শাবক-সহ প্রাণ হারাল একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের চুনাখা এলাকায়। ওই অঞ্চলটি কুমায়ুনের তরাই পশ্চিম বন বিভাগের মধ্যে পড়ে।
জানা গিয়েছে, বিস্তীর্ণ ওই জঙ্গল এলাকার মধ্যে দিয়েই গিয়েছে রামনগর- হলদিওয়ানি হাইওয়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায় পূর্ণবয়স্ক ওই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। মৃত বাঘিনীর বয়স আনুমানিক ন' বছর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বাঘটির গর্ভে ছিল তিনটি ভ্রূণ।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্য বনপাল রাজীব ভরতারি জানান, 'তিনটি ভ্রূণ সহ এই বাঘিনীর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক গাড়িটিকে চিহ্নিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া যায়।'
এই ঘটনায় স্বভাবতই হতাশ বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত পরিবেশকর্মীরা। তাঁদেরই মধ্যে অন্যতম সাগ্নিক সেনগুপ্ত জানান, যেহেতু ওই বনাঞ্চল জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কের সঙ্গে যুক্ত, তাই প্রচুর সংখ্যক বাঘ ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে আগাম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাগ্নিকবাবু। তিনি আরও বলেন, 'এখন ওই এলাকায় ভরা পর্যটন মরশুম। ফলে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। এমন আরও দুর্ঘটনা ওখানে ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তার পরেও বন দফতর বা স্থানীয় প্রশাসন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চলাচলের গতি কমালো না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন ব্র্যাঘ্র প্রেমীরা।'