সংক্ষিপ্ত
টিকটক ভিডিও রেকর্ড করাই ছিল তার নেশা।
তার বিরাট মূল্য চোকাতে হল জয়পুরের এক কিশোরকে।
এক কিশোরীর সঙ্গে ভিডিও তুলেছিল সে।
ভরা রাস্তায় তাকে নগ্ন করে হাঁটতে বাধ্য করা হল।
টিকটক ভিডিও রেকর্ড করাই ছিল তার নেশা। কিশোরের সেই ভিডিও-তে সঙ্গী হয়েছিল এক কিশোরী-ও। আর বোনের সঙ্গে টিকটক ভিডিও বানানোর এই অপরাধে ওই কিশোরীর দাদা এবং আরও তিনজন মিলে ওই কিশোর-কে নগ্ন করে প্রথমে বেল্ট দিয়ে পেটালো। তারপর ভরা রাস্তায় তাকে নগ্ন হয়েই হাঁটতে বাধ্য করল। কিশোরের সেই লাঞ্ছনার পুরো মুহূর্তটা আবার ভিডিও রেকর্ড-ও করে রাখা হল। কোনও দূর গ্রামের ঘটনা নয়, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের রাজপথেই ঘটেছে এই পৈশাচিক ঘটনা।
সেই ভিডিও-র জেরেই শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে ওই কিশোরীর দাদা ও ভিডিও বানানোর ঘটনায় জড়িত আরও তিনজন। জয়পুরের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েথে ওই কিশোর-কে কীভাবে অভিযুক্তরা রাস্তায় নগ্ন হয়ে ঘুরতে বাধ্য করেছিল। লজ্জায় কিশোর দুহাতে মুখ ঢেকে ছিল। গোপনাঙ্গ ঢাকতে গেলেই পড়েছে বেল্টের বাড়ি। থেমে গেলেও একই শাস্তি। সেই সঙ্গে উপস্থিত চারজনই নানাভাবে লাঞ্ছনা করেছে তাকে। একসময় ছেলেটি কাঁদতে কাঁতে তাদের কাছে ক্ষমা চায়। কিন্তু অভিযুক্তরা জানিয়ে দেয়, তাকে শিক্ষা না দিয়ে তারা ছাড়বে না।
ওই কিশোরের পরিবার জানিয়েছে ঘটনার পর সে প্রবল আতঙ্ক নিয়ে ছুটে বাড়িতে আসে। ওই অভিজ্ঞতার পর থেকে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাড়ির বাইরে বের হতেও ভয় পাচ্ছে। গত শনিবার, তার পরিবার মূল অভিযুক্ত এবং বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় থানায় অভিযোগ নথিভুক্ত করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত ও ভিডিও রেকর্ড করা আরেকজন এখনও পলাতক।
ছেলেটির পরিবার অভিযোগ দায়ের করার পরই অবশ্য মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় এসে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, উভয়পক্ষের অভিযোগই গ্রহণ করা হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।