সংক্ষিপ্ত

  • গ্রামের বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই কবরস্থানের দাবি করছিলেন কবরস্থান তৈরি করার
  • কারণ প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তাঁদের কবর দেওয়ার জায়গা ছিল না
  • কবরস্থানের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় গজিয়ে উঠল মন্দির
  • স্থাপিত হল হনুমানজীর বিগ্রহ

হওয়ার কথা ছিল কবরস্থান, কিন্তু হয়ে গেল মন্দির বিষয়টা খানিকটা ভৌতিক মনে হলেও ঘটনা এমন ঘটনাই ঘটেছে আগ্রায়। আগ্রার চাহ পোখার গ্রামে একটুকরো ফাঁকা জমিতে একটি কবরস্থান গড়ে ওঠার কথা প্রস্তাব করা হয়েছিল। গ্রামের মুসলিম বাসিন্দারা তাঁদের প্রিয়জনের মৃতদেহ বাড়ির আশেপাশেই কবর দিতেন। আর সেই কারণেই গ্রামের একটি ফাঁকা জমির কথা প্রস্তাব করা হয়েছিল, যেখানে একটি কবরস্থান গড়ে তোলা যেতে পারে।

 কটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রথম সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সূত্রের খবর আগ্রার চাহ পোখার গ্রামের মুসলিমরা তাঁদের প্রিয়জনদের দেহ বাড়ির আশেপাশেই কবর দিত। এমনকী জায়গার অভাবে অনেকে বাড়ির রান্নাঘরেও মৃতদেহ কবর দিত বলে খবর। সেইমতো পরিকল্পনাও চলছিল ওই ফাঁকা স্থানে কবরস্থান তৈরি করার, কিন্তু রাতারাতি কবরের জন্য প্রস্তাবিত জমির ওপর গজিয়ে উঠেছে একটি মন্দির! 

স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের ওই ফাঁকা অংশে কবরস্থান গড়ে ওঠার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামেরই কিছু মানুষ সেখানে কয়েকটি ইঁট গেঁথে একটি হনুমানজীর মূর্তি বসিয়ে দেয়। তাঁদের দাবি, এলাকাটি এমনিতেই নির্জন তারওপর রাতের অন্ধকারে কেউ সেখান দিয়ে একা হেঁটে গেলে ভয় পাবেন বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই কবরস্থানের দাবী করার পর অবশেষে তার অনুমতি মিললেও তার পরিকল্পনাই ভেস্তে দিল একাংশ। বিষয়টি গ্রামের প্রধানকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেন।