অযোধ্যার এখন মূল ফোকাসে রাম মন্দির নির্মাণের ভিত পুজোতারমধ্যেই বুধবার অযোধ্যায় শুরু হয়ে গেল মসজিদ তৈরির প্রস্তুতিগঠিত হল ১৫ সদস্যের ট্রাস্টকবে শুরু হবে মসজিদ নির্মাণ

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে যখন ৫ল অগাস্ট রাম মন্দির নির্মাণের ভিত পুজোর প্রস্তুতি চলছে, তখন বুধবার কিছুটা অনাড়ম্বরভাবেই অযোধ্যায় তৈরি হল বিকল্প জমিতে মসজিদ তৈরির জন্য ট্রাস্ট। সুপ্রিম কোর্ট, ২০১৯ সালের নভেম্বর অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলায় যে রায় দিয়েছিল, তা মেনেই অযোধ্যায় একটি মসজিদ তৈরির জন্য এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এই ট্রাস্টের নাম দেওয়া হয়েছে 'ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন'। উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। ট্রাস্টে মোট ১৫ জন সদস্য থাকছেন বলে জানিয়েছে বোর্ড। আরও জানানো হয়েছে, অযোধ্যার ধন্নিপুর গ্রামে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছে, তাই তারা গ্রহণ করেছে। ট্রাস্টের সেক্রেটারিই এরপর থেকে ট্রাস্টের সরকারি মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবেন।

Scroll to load tweet…

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দাবি করেছে ওই ৫ একর জমিতে আগের বাবরি মসজিদের সমান আকারেরই একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে। শুধু প্রার্থনা নয়, সেই সঙ্গে এই মসজিদটি স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাও থাকবে। থাকবে কমিউনিটি কিচেন, গবেষণা কেন্দ্র, যাদুঘর, এবং একটি গ্রন্থাগার-ও। এটি ভারতীয় সমাজে ইন্দো-ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রচার করার কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে।

তবে রামমন্দিরের মতো করোনভাইরাস মহামারির মধ্যেই মসজিদ নির্মাণের কাজ হবে না। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, মহামারির সংকট পুরোপুরি দূর হলে কিংবা একে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই এই নয়া ট্রাস্ট মসজিদটি নির্মাণের কাজ শুরু করবে। তাদের মতে কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে লড়াইকেই এখন অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমির মালিকানা রামলাল্লা বিরাজমান-কে দিয়েছিল। সেই মন্দিরটি নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নতুন একটি মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড-কে পাঁচ একর বিকল্প জমি হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছিল।