সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে উত্তর প্রদেশের আলিগঞ্জের বাসিন্দা মহিলা। ধারচুলার এসপিএম থেকে মাত্র ১৫ দিনেপ অনুমতি নিয়ে গুঞ্জিতে গিয়েছিল।

নিজেকে পার্বতীর অবতার বলে দাবি করছেন। তিনি চান ভগবান শিবকে বিয়ে করতে। আর সেই কারণেই দিনের পর দিন হিমালয়ের ভারত-চিন সীমান্ত অবৈভাবে বসবাস করছেন এক মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, চিন সীমান্তের নাভিধংয়ের কাছে একটি সীমাবদ্ধ এলাকায় বসবাস করছেন। যেখান থেকে কিছুতেই তঁকে সরানো যাচ্ছে না। এই এলাকা ছেড়ে যেতে মহিলা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। 


উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের এসপি লোকেন্দ্র সিং বলেছেন মহিলার নাম হরমিন্দর কৌর। তিনি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি চিন সীমান্তে যে এলাকায় রয়েছেন সেকানে  পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এই এলাকা সীমাবব্ধ এলাকা। পুলিশ তাঁকে একাধিকবার এলাকা ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু মহিলা কোনও কথা না শোনায় পুলিশ কর্মীদের হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। মহিলা আরও জানিয়েছেন তাঁকে যদি জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহল তিনি আত্মহত্যা করবেন।  এই এলাকা সেনা বাহিনীর দখলে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

তবে এখানেই হাল ছাড়তে রাজি নয় পুলিশ। এসপি জানিয়েছেন মহিলাকে জোরকরে ধারচুলায় নামামোর জন্য একটি বড় পুলিশের দল পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে উত্তর প্রদেশের আলিগঞ্জের বাসিন্দা মহিলা। ধারচুলার এসপিএম থেকে মাত্র ১৫ দিনেপ অনুমতি নিয়ে গুঞ্জিতে গিয়েছিল। গত ২৫ মে তাদের সেখানে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও এই বিশেষ এলাকা ছেড়ে যেতে মহিলা অস্বীকার করেছেন। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন প্রথম দফায় গুই সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন পরিদর্শকসহ তিন জন পুলিশ কর্মীকে পাঠান হয়েছে মহিলাকে নামিয়ে আনার জন্য়। কিন্তু তারা খালি হাতে ফিরে এসেছে। এরপর গাঞ্জিতে ১২ জনের একটি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই দলে চিকিৎসক রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে। 

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে। কারণ তিনি নিজেকে দেবী পার্বতীর অবতার বলে দাবি করছেন। আর ভগবান শইবকে বিয়ে করার জন্যই সেখানে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন । গাঞ্জি কৈলাস-মানসরোবরের পথে পড়ে। এই এলাকা ভারতের। কিন্তু চিন সীমান্ত এখান থেকে খুব দূরে নয়।