সংক্ষিপ্ত
- আরে কলোনিতে গাছ কাটা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা মুম্বইতে
- শুক্রবার গাছ কাটার পক্ষেই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট
- তারপরই রাতের অন্ধকারেই আরও ২০০টি গাছ কাটা হয়েছে
- এই নিয়ে বিরোধ বেধেছে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যেও
সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট। তার আগে আরে কলোনিতে মেট্রোর কাজের জন্য গাছ কাটা নিয়ে বিরোধ লাগল বিজেপি ও শিবসেনার। শুক্রবারই বম্বে হাইকোর্ট এই এলাকার গাছ কাটার বিরোধিতার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আর তারপরই রাতের অন্ধকারে আরও ২০০টি গাছ কেটে ফেলেছে প্রশাসন বলে অভিযোগ। আর এরপরই আরে কলোনির পরিবেশ আন্দোলনের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
বম্বে শহরের ফুসফুস বলে হয় এই আরে কলোনিকে। আর এখানেই উন্ননের বলি হতে চসলেছে মোট ২৬০০ টি গাছ। একটি মেট্রোরেল স্টেশন ও একটি কার পার্কিং তৈরি করা হবে। প্রস্তাবিত কার পার্কের এলাকায় শুক্রবার রাত থেকেই জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। প্রত্যেকেই পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিন দুপুরে শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী-সহ মোট ২৯ জন প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানো, সরকারি অফিসারদের কাজে বাধা দেওয়া-,হ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ ক.য়েকটি দারায় মামলা করা হয়।
তবে এই নিয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক জোট শিবসেনা ও বিজেপির মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর গাছ কাটার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তিনি দিল্লি মেট্রোর উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, দিল্লিতেও প্রথম মেট্রো স্টেশনটি তৈরির সময় ২০ থেকে ২৫টি গাছ কাটা পড়েছিল। সেই নিয়ে প্রতিবাদেও সরব হন বাসিন্দারা। কিন্তু প্রতিটি গাছ পিছু ৫টি করে নতুন চারাগাছ রোপন করা হয়। এরপর মোট ২৭১টি স্টেশনের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে শিবসেনার যুব নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে টুইট করে বলেথেন, প্রতিবাদীদের গ্রেফতার বা জরিমানা করা টিক নয়। যদি তা করা হয়, সেটা চরম লজ্জার বিষয় হবে। পরিবেশ রক্ষার দাবি যারা জানাচ্ছেন, তাদের আটক করলে ভারতকে রাষ্ট্রসংঘ ভন্ড বলে মনে করবে। পরিবেশ ভালবাসার কারণে এই প্রতিবাদীদের যাতে আটক বা গ্রেফতার না করা হয়, সেই বিষয়টি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকেই দেখতে অনুরোধ করেন তিনি। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে আবার বলেছেন, তাঁরা যখন সরকার গঠন করবেন, তখন গাছ হত্যা যারা করছে, তাদের তিনি দেখে নেবেন।