সংক্ষিপ্ত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, একটি মাঠে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। মাঠেই প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু পাখার ব্যবস্থা করেনি উদ্যোক্তরা।

 

মঙ্গলবার হাথরসে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের রতিভানপুর গ্রামে। সেখানে ভোলে বাবা নামে এক স্বঘোষিত ভগবান সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিল। প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, একটি মাঠে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। মাঠেই প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু পাখার ব্যবস্থা করেনি উদ্যোক্তরা। প্রচন্ড গরম আর আর্দ্রতার কারণে প্যান্ডেলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছিল। তাই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই তাড়াহুড়ো করছিল। তৈরি হয়েছিল বিশৃঙ্খল পরিবেশ। পাশাপাশি প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে গেট তৈরি করা হয়েছিল তা অত্যন্ত শরু ছিল। হুড়োহুড়িতে অনেকেই মাটিতে পড়ে যায়। বাকিরা মাটিতে পড়ে থাকাদের ওপর দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্ধ তাঁবুর মদ্যেই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই ভক্তদের দমবন্ধ হয়ে যায়। আর সেই কারণে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হুড়োহুড়ি করে। তাতেই পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এই উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, 'এটি ছিল একজন ধর্মীয় প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গের সভা। মঙ্গলবার বিকেলে ইটা এবং হাতরাস জেলার সীমান্তে ঘটনাস্থলে জমায়েতের জন্য একটি অস্থায়ী অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এটি তাঁবুর একটি বন্ধ ঘের ছিল এবং প্রাথমিকভাবে, মনে হচ্ছে যে শ্বাসরোধে অস্বস্তি হয়েছিল এবং যারা জড়ো হয়েছিল তারা এদিক-ওদিক দৌড়ে গিয়েছিল, যার ফলে পদদলিত হয়েছিল।'

 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক কিশোরী বলছেন, ভক্তরা তাড়াহুড়ো করে প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিল। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা। কিশোরী আরও জানিয়েছে, 'ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জড়ো হয়েছিল। এটি সব ঘটেছিল যখন সৎসঙ্গ শেষ হয়েছিল এবং সবাই ঘের ছেড়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করেছিল। কোন উপায় ছিল না এবং সবাই একে অপরের উপর পড়ে, এবং পদদলিত হয়। আমি যখন বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন বাইরে মোটরসাইকেল পার্ক করা ছিল যা বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।'