সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে মার্চ মাস পর্যন্ত দারুন পারফরম্যান্স করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বীমা সংস্থার জন্য যা এক মাইলফলক।

অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারত রয়েছে পঞ্চম বৃহত্তম স্থানে। যার আগে রয়েছে আমেরিকা, চিন, জাপান, জার্মানি। তবে ভারতের অর্থনীতির পরিমাণ যেভাবে এগোচ্ছে সেই হিসাবে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানকে এই নিরিখে জোর টেক্কা দিয়েছে ভারত।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে মার্চ মাস পর্যন্ত দারুন পারফরম্যান্স করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বীমা সংস্থার জন্য যা এক মাইলফলক। পাশাপাশি এই বৃদ্ধির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে এলআইসির এইউএম। যা এই প্রথমবার এই বীমা সংস্থায় দেখা গিয়েছে। বলা যায় রেকর্ড গড়েছে AUM-এর পরিমাণ। হিসাব অনুযায়ী এক বছরে এলআইসির এইউএমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬.৪৮ শতাংশ। যার মোট নিয়ন্ত্রাধীন সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১,২১,৮৮৭ কোটি টাকা। যা পাকিস্তানসহ দুই দেশের জিডিপিকে টপকে গিয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা সংস্থার এই সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। কারণ এলআইসির এই নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদের পরিমাণ ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের জিডিপিকে ছাপিয়ে গেছে। যা পাকিস্তানের জিডিপির প্রায় দ্বিগুণ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের জিডিপি প্রায় ৩৩ হাজার কোটি ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৯ লক্ষ কোটি টাকা। অপরদিকে ভারতের এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ইউরোপের ডেনমার্কের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি ডলার। ৫২ হাজার কোটি ডলার অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ সিঙ্গাপুরের। ফলস্বরূপ পাকিস্তানসহ এই দুই দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে এলআইসির এইউএম-এর পরিমাণ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।