সংক্ষিপ্ত
অসমে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের হানা
মৃত্যু ২৮০০ শুয়োরের
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ প্রশাসনের
চিনকেই দায়ি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী
করোনা সংকটের মধ্যেই দেশে দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ। অসমে প্রায় মড়ক লেগে গেছে শুয়োরের। ইতিমধ্যেই ২০৫টি গ্রামে প্রায় ২৫০০ বেশি শুয়োরের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কথায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যে। চিকিৎসকদের কথায় আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর আর এএসএফ হল একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগ যেখানে থাবা বসায় সেখানে ১০০ শতাংশ শুয়োরেরই মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ভারত তথা অসমে এই প্রথম আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিল। অসম সরকারের অভিযোগ চিন থেকে যেমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে তেমনই আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের সংক্রমণও অসমে পা ফেলেছে। ২০১৮ -২০২০ সালের মধ্যে চিনে আফ্রিকান সোয়ইন জ্বরের প্রকোপে প্রায় ৬০ শতাংশ শুয়োর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
রাজ্যেই এই পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, বন দফতর, ন্যাশানাল পিগ রিসার্চ সেন্টার অব ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্যের পশুপালন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অতুল বোরা জানিয়েছেন, শুয়োরের মড়ক সবে শুরু হয়েছে রাজ্যে। এই ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বায়োসিকিউরিটি পরিমাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে রোগের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরই প্রশাসনের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণী সম্পদকে বাঁচাতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। রাজ্যের ৩০ লক্ষ শুয়োর বাঁচাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অসম সরকারের তরফ থেকে জানান হয়েছে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ সোয়াইন ফ্লু পশু থেকে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। কিন্তু আফ্রিকার সোয়াইন জ্বর নিয়ে সেই আশঙ্কা নেই। ১৯২১ সালে প্রথম কেনিয়া আর ইথিওপিয়াতে প্রথম এই রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে প্রথম হিন্দু পাইলট, ইতিহাস তৈরি করলেন রাহুল দেব ...
আরও পড়ুনঃ তৃতীয় লকডাউনে কী কী ছাড় দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এক ঝলকে চোখ বুলিয়ে নিন ...
করোনা সংকট কাটিয়ে সব স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিল অসম। তারই মধ্যে নতুন বিপদ। এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩। মৃত্যু হয়েছিল এক জনের। তবে করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল এই রাজ্যটি।