সংক্ষিপ্ত

 বিচারপতি রেখা পিল্লাই দিল্লি সরকারও অন্যান্যদের পিটিশনের জবাব দাখলের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর।

বিয়ে (marriage) হয়েছিল প্রায় ৪০ বছর আগে। কিন্তু সেই বিয়ে নথিভুক্ত করতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটে গেল দম্পতি। ছুটতে হল আদালতেও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। দম্পতির বিবাহ নথিভুক্ত সংক্রান্ত (register their marriage )মামলার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) দিল্লি সরকারের কাছে একটি নোটিশও পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর সফ্টওয়্যার সিস্টেমের জন্য দম্পতির বিবাহ নথিভুক্ত করা যায়নি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ৪০ বছর আগে দম্পতি যখন বিয়ে করেছিল তখন তাঁরা দুজনেই ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

এই মামলায় বিচারপতি রেখা পিল্লাই দিল্লি সরকারও অন্যান্যদের পিটিশনের জবাব দাখলের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর। সংশ্লিষ্ট দম্পতি তাদের আবেদনে জানিয়েছেন অ্যাডভোকে জেএস মান-এর মাধ্যমে তাদের বিয়ে নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা দুজনেই আদালতে জানিয়েছেন সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি দিয়ে তারা বিয়ের নিবন্ধনের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু সফ্টওয়্যার সিস্টেম তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি। কারণ যেসময় তারা বিয়ে করেছিলেন সেই সময় স্বামীর বয়স ২১ বছরের কম ছিল। আর স্ত্রীর বয়সও ১৮ এর কম ছিল। ১৯৮১ সালে ২৮ মে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেইসময় দুজনের বয়সই ১৮ ছিল। 

Pentagon Report: ধীর গতিতে চিনা আগ্রাসন ভারতীয় সীমান্তে, পেন্টাগনের রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলল দিল্লি

TMC: মন্ত্রী-বিধায়ক নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার ১৬, পাল্টা দোষারোপ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে

আবেদনকারীরা বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৫৪-এর পঞ্চম তফসিলে উল্লিখিত ফর্মে তাদের বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলে। পাশাপাশি পূর্ববর্তী নিয়মগুলি পরিত্যাগ করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। বিবাহ নিবন্ধনের ৩০ দিন আগে তারা নোটিশও দিয়েছিলেন। আবেদনকারীরা আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছিলেন, ১৯৫৪ সালের ১৫ ধারায় নির্ধারিত বিবাহ নিবন্ধনের সমস্ত শর্ত তারা পুরণ করেছেন। বিয়ের সময় দুজনেরই বয়স ২১ বছর পূর্ণ হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। হিন্দুপ্রথা অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ২৮ মে থেকেই তাঁরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে এতগুলি বছর ধরে সংসার করছেন বলেও জানিয়েছিলেন। তাঁদের চার সন্তানের কথাও আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছিলেন।  কিন্তু বয়সের ঘেরাটোপেই আটতে যায় তাদের বিয়ে নথিভুক্তকরণ। 

Kangana Ranaut: 'পাগলামি না রাষ্ট্রোদ্রোহিতা' কী বলব, কঙ্গনার মন্তব্যের পর প্রশ্ন বিজেপি নেতার

বর্তমানে বিয়ের বয়স নিয়ে কড়াকড়ি ্অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু ১৯৮১ সালে যখন দম্পতির বিয়ে হয়েছিল তখন এতটা আইনি কড়াক়ড়ি ছিল না। তাই বর্তমানে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।  তবে এই ঘটনাটি অনেকের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখনও যারা তড়িঘড়ি বিয়ে দি্চ্ছেন তাদের সন্তানদেরও আগামী দিনে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।