সংক্ষিপ্ত
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা উপস্থিতির নিয়ে কূটনৈতিতৃকভাবেই আপত্তি জানান হয়েছে বেজিংকে। আগামী দিনে একইভাবে ভারত আপত্তি জানিয়ে যাবে।
ভারতীয় ভূখণ্ডে এই ধরনের অবৈধ দখলদারী ও চিনের অযৌক্তিক দাবি মানে না ভারত। পেন্টাগন (Pentagon) সম্প্রতি ইউএস কংগ্রেসকে (US Congress) চিনা দখলদারি ও আগ্রাসন নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠিযেছে। সেই রিপোর্টে ইন্দোন-চিন (Indo-China) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবার চিনা আগ্রাসনের কথা উল্লেখ রয়েছে। পেন্টাগনের দাবি ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে চিন। পাশাপাশি ধীর গতিতে এলাকার দখলদারির চেষ্টা করছে। পেন্টাগনের এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক প্রেস বিজ্ঞরপ্তিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন ভারত তার ভূখণ্ডে চিনের অবৈধ দখলদারী মানে না। তাই চিন কোনও দাবি করলে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাঁর মন্তব্য বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ধীরে ধীরে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বেজিং। কিন্তু চিনের এই কজা সমর্থন করে না দিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা উপস্থিতির নিয়ে কূটনৈতিতৃকভাবেই আপত্তি জানান হয়েছে বেজিংকে। আগামী দিনে একইভাবে ভারত আপত্তি জানিয়ে যাবে। তবে ভারতও সীমান্ত সুরক্ষাও ও সীমান্ত যোগাযোগের ওপর জোর দিচ্ছে। সেতু ও সড়ক তৈরি হচ্ছে। যেগুলির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সীমান্ত নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
TMC: মন্ত্রী-বিধায়ক নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার ১৬, পাল্টা দোষারোপ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অরুণাচল সীমান্ত এলাকায় গ্রাম তৈরি করেছে চিনে। মার্কিন রিপোর্টেও তার উল্লেখ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে অরুণাচল প্রদেশসহ তার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলে এমন সবরকম উন্নয়নের দিকেই কেন্দ্রীয় সরকারের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
Xi Jinping: মাও সেতুং-এর সঙ্গে একই আসনে শি জিংপিং, আরও শক্তিশালী হচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ১৮ মাসের সামরিক অস্থিরতার সমাধানের জন্য চিন ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। গত সপ্তাহে এমনই অভিযোগ করেছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসন বলেছেন চিন ক্রমবর্ধমান ও কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৩ নভেম্বর প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চিনের সামরিক বাহিনী ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের সবথেকে বেশি সময় রিয়েল টাইম অপারেশ ও কৌশলগত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। বলা হয়েছে ২০২০ সালে চিন তিব্বতে স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ও অরুণাচল প্রদেশে ১০০টি বাড়ির একটি গ্রাম তৈরি করেছে।