সংক্ষিপ্ত
জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।আরও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব নয়"।
চরম চাপের মধ্যে পড়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha) এবং তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (TMC MLA Jiban Krishna Saha) ওপর আক্রমণের ঘটনায় ব্যবস্থা নিল পুলিশ। যদিও দলের তরফে এখনোও কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সোদপাড়া এলাকায় মন্ত্রী ও বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে। শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়,বিচারক সকলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।আরও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব নয়"। আর এই গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের ঘটনা চাউর হতেই নতুন করে রাজনৈতিক জোর তরজা শুরু হয়েছে শাসক দলের অন্দরে ভিতরে। তৃণমূলের একাংশের দাবি," বাধ্য হয়েই দলের জেলা নেতৃত্ব পুলিশকে সামনে রেখে এ ১৬ জনকে গ্রেফতার করিয়েছে। অথচ মূল যারা অভিযুক্ত সেই ব্লক তৃণমূল যুব তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মোরশেদ ও মাসে আলমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ এখনোও পর্যন্ত করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই কোথাও না কোথাও আসন্ন পৌরসভা ও লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ভিতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কে চাপা দিতেই এই নমনীয় মনোভাব।
Xi Jinping: মাও সেতুং-এর সঙ্গে একই আসনে শি জিংপিং, আরও শক্তিশালী হচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট
যদিও মন্ত্রী ও বিধায়ক এর ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় যাবতীয় দায় অস্বীকার করে দিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এবং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম উল্টে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তারা জানান, দলের মন্ত্রী ও বিধায়কের অনুগামীরা চক্রান্ত করে তাদের নামে কুৎসা রটাতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে কোনোভাবেই তারা যুক্ত নয়।
Kangana Ranaut: 'পাগলামি না রাষ্ট্রোদ্রোহিতা' কী বলব, কঙ্গনার মন্তব্যের পর প্রশ্ন বিজেপি নেতার
এদিকে বৃহস্পতিবার আরও জানা যায়, দলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়া বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা রীতিমতো রাজ্য নেতৃত্ব কাছে পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জমা দিয়ে দলীয় স্তরে তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেন,"কোনমতেই এই ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না আমি সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছি প্রয়োজনে কলকাতায় গিয়ে তৃণমূল ভবনে সাক্ষাত করে আসবো"।
প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। কিছুদিন আগে কান্দি মহকুমার অন্তর্গত সোদপাড়া এলাকার শ্রমিক পরিবারের ৫ সদস্য দমদম বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট গাড়িতে করে মুর্শিদাবাদ ফেরার পথে বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। গুরুতর জখম হয় ৬। ঐ মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যানপালন দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি ও যুব তৃণমূল সভাপতির নেতৃত্বে তাদের অনুগামীরা মারধোর থেকে শুরু করে মন্ত্রী বিধায়কের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেই অভিযোগ।ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িতেও এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খায়। ময়দানে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক আবহাওয়া রীতিমতো টালমাটাল হয়ে রয়েছে।