আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণগুলি উন্মোচিত হয়েছে। ইঞ্জিন বিকল, পাইলটের ভুল, প্রযুক্তিগত ত্রুটি, খারাপ আবহাওয়া এবং রানওয়েতে অনুপ্রবেশের মতো বিষয়গুলি এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হতে পারে।

আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া প্লেন দুর্ঘটনাক তদন্ত চলছে এখনও। টেকঅফ করার পর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায় প্লেনটি। ঘটনায় আপাতত প্রয়াতের সংখ্যা ২৭৪। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। তবে ঠিক কী কারণে হয়েছিল এই দুর্ঘটনা। প্রকাশ্যে এসেছে কয়টি কারণ।

ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পাখির আঘাত, জ্বালানির চাপ কমে যাওয়া বা উৎপাদনজনিত ত্রুটির মতো প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে হতে পারে এই দুর্ঘটনা।

তেমনই পাইলটের ভুলে হলে পারে এই দুর্ঘটনা। গতি ভুলভাবে নির্ণয় করা, ঘূর্ণনের সঠিক সময় নির্ধারণে ভুল বা ভুল পিচ অ্যাঙ্গেল বাছাই প্রাণঘাতী পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

প্রযুক্তিগত সিস্টেম ব্যর্থতার কারণে হতে পারে এমনটা। ল্যান্ডিং গিয়ার, হাইড্রোলিক্স, অটোথ্রটল বা এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে লুকানো ত্রুটির কারণে হতে পারে এমনটা।

আবহাওয়া খারাপ হলে যেমন দৃষ্টিসীমা হ্রাস, বজ্রঝড় বা মাইক্রোবার্স্ট বিমানকে টেকঅফের সময় জটিলতা তৈরি করতে পারে।

রানওয়েতে হঠাৎ কোনও যানবাহন, পাখি বা অন্য কোনও বিমানের অনুপ্রবেশ পাইলটদের প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য মাত্র কয়ের সেকেন্ড সময় দেয়, যার ফলে এড়ানোর কৌশল নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে হতে পারে দুর্ঘটনা।

প্রসঙ্গত, ওড়ার পর মুহূর্তে অন্তত ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঘটে দুর্ঘটনা। লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরই ভেঙে পড়ে আহমেদাবাদ- লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে। আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ১৫ কিমি দূরে মেঘানী নগরের বিজে মেজিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ভেঙে পড়ার পরমুহূর্তে বিস্ফোরণ হয়। যে কারণ স্থানীয়দের প্রয়াণের আশঙ্কা আছে।

বিমানে ২৩০ জন যাত্রী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বেঁচে আছেন। বাকি সকলেই প্রয়াত। এই বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও ৫৩ জন ব্রিটিশ, এক জন কানাডিয়ান, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ছিলেন ১০ জন ক্রু সদস্য। জানা যাচ্ছে, এই বিমানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যিনিও প্রয়াত হন এই দুর্ঘটনায়। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭৪। তা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। চলছে তদন্ত। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানার চেষ্টা চলছে।