- Home
- India News
- রহস্যময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের 11A আসন, যা বাঁচিয়ে দিল একমাত্র যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশকে
রহস্যময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের 11A আসন, যা বাঁচিয়ে দিল একমাত্র যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশকে
Ahmedabad plane crash: এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রশেম কী করে বেঁচে ফিরলেন তা তিনি জানিয়েছেন নিজেই। রইল রহস্যময় ১১এ সিটের কথা।

বিমান দুর্ঘটনা
আমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমান বন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই -১৭১ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে থাকা ২২৯ যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য মারা গিয়েছিলেন। আর যে হোস্টেলে প্লেনটি ভেঙে পড়েছে সেখানে ৫ জন মেডিক্যাল ছাত্র মারা গিয়েছে।
একমাত্র জীবিত
এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবল থেকে একমাত্র বেঁচে ফিরেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ভারতীয় নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ।
কিন্তু কী করে
রমেশ কী করে বেঁচে ফিরলেন? এই প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আজ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। কথাও বলেছেন।
রহস্যময় ১১এ সিট
বিশ্বাসকুমার রমেশ এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১-এর ১১এ সিটের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর যখন উদ্ধারকারী দল পৌঁছায় তখন তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি নিজেই হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছিলেন।
১১এ সিটের অবস্থান
১১এ সিটটি ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে, ব্যবসায়িক কেবিনের ঠিক পিছনে এবং বাম দিকে জরুরি বহির্গমনের কাছে অবস্থিত। বিমানটি মাটিতে আঘাত করার সময়, ১১এ সহ সামনের-বাম অংশটি হোস্টেল ভবনের নিচতলায় ভেঙে পড়ে, উপরের তলায় নয় যেখানে বিমানের মূল অংশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বাঁচার কারণ
রমেশ জনিয়েছেন, 'আমি যেখানে বসেছিলাম সেই দিকটি ভবনের নিচতলায় পড়ে গিয়েছিল। কিছুটা জায়গা ছিল। দরজা ভেঙে আমি সেই জায়গাটি দেখতে পেয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে আসি।' তিনি আরও জানিয়েছে, দরজাটা ধাক্কাদিতেই ভেঙে পড়ে যায়। উল্টো দিকে একটা দেওয়াল ছিল। তিনি দৌড়ে যান, কিন্তু কী করে যান তা তিনি জানান না বলেও জানিয়েছেন।
রমেশের বক্তব্য
রমেশ আরও জানিয়েছেন, তিনি জানেন না তিনি কী করে বেঁচে গিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর একটা সময় মনে হয়েছিল তিনি মারা যাবেন। তবে তিনি নিজে নিজে সিটব্লেট খুলে সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর চোখের সামনেই বিমানের যাত্রীরা মারা গিয়েছে।
হাসপাতালে রমেশ
রমেশ এখন আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ওয়ার্ড B7 এর ১১ নম্বর বেডে আছেন, ২৪ ঘন্টা নজরদারিতে আছেন। তাঁর ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে গুজরাট এটিএস ও শহরে অপরাধ দমন শাখার পুলিশ।
দুনর্ঘটনার কারণ
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে টাকা সংস্থার পক্ষ থেকে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন।

