সংক্ষিপ্ত

কোঝিকোড়ের বিমান দুর্ঘটনায় ফিরল এককদশক আগের আতঙ্ক

ম্যাঙ্গালোরেও একই ভাবে রানওয়ে থেকে পিছলে দু টুকরো হয়ে গিয়েছিল বিমান

মৃত্যু হয়েছিল ১৬০ জন মানুষের

দুই বিমান দুর্ঘটনায় রয়েছে গা ছমছমে মিল

 

ভেঙে দু টুকরো হয়ে গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং-৩৭৭ বিমানের বিশাল শরীরটা। বাকি অংশগুলো টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে রয়েছে চারপাশে। কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরের শুক্রবার সন্ধ্যার বিমানের দুর্ঘটনার একেকটা দৃশ্য সামনে আসতেই অনেকেরই স্মৃতিতে ফিরেছে ম্যাঙ্গালোরের আতঙ্ক। প্রায় এক দশক আগে প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের ওই বিমানবন্দরেও প্রায় একি রকম মর্মান্তিক এবং দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

বস্তুত দুই দুর্ঘটনার মধ্যে প্রভুত মিল রয়েছে। কী ঘটেছিল ২০১০ সালে ম্যাঙ্গালোরে?

২০১০ সালের মে মাসে এদিনের মতো দুবাই থেকেই একটি বিমান এসেছিল ম্যাঙ্গালোরে। এদিনের মতো সেই দিনও বিমানটি ছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসেরই। মাঙ্গালোরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এদিনের মতোই বিমানটি রানওয়ে পার করে পড়ে গিয়েছিল খাদে। আসলে কোঝিকোড় ও ম্যাঙ্গালোর - দুই বিমানবন্দরই হল টেবিলটপ বিমানবন্দর। অর্থাৎ সমতল থেকে মালভূমির মতো কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত। তাই রানওয়ের শেষেই থাকে খাদ। ম্যাঙ্গালোরের দুর্ঘটনাতেও বিমানটি দুই টুকরোয় ভেঙে গিয়েছিল।

তবে, ২০১০ সালের সেই দুর্ঘটনায় ১৬০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। বেঁচে গিয়েছিলেন ৮ জন। ম্যাঙ্গালোরে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে গিয়েছিল। ওই আটজন বিমানটি থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন বলেই প্রাণ বেঁচেছিল তাঁদের। এই দুর্ঘটনাটিকে ভারতের সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা বলা হয়।

এদিন দুর্ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল বলেই বিমানটিতে দুর্ঘটনার পর আগুন ধরেনি বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডিজিসিএ-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিনের দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত্যু হয়েছে, ক্যাপ্টেন দীপক বনসাথ সাথে এবং ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার - বিমানের দুই চালকেরই।