সংক্ষিপ্ত

  • ফের লালুপ্রসাদের পরিবারের ঝামেলা প্রকাশ্যে
  • রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ
  • অভিযোগ করলেই ঐশ্বর্যা রাই
  • বডিগার্ড দিয়ে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ
     

ফের একবার গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুললেন ঐশ্বর্যা। অভিযোগের তির শ্বাশুড়ি রাবড়ি দেবীর দিকে। আর তাকে ঘিরেই সরগরম বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়িদেবীর ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাংলো। পুত্রবধূর গায়ে হাত তুলেছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের ঘরণী। তাঁকে জোড় করে বাংলো থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।

গত তিন মাসের মধ্যে এটা দ্বিতীয়বার, যখন শাশুড়ি রাবড়ির বিরুদ্ধ মুখ খুললেন ঐশ্বর্যা। " আমার চুলের মুঠি টেনে ধরেছিলেন রাবড়িদেবী। এরপর বর্ডিগার্ড দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়।"  দাবি করেছেন ঐশ্বর্যা রাই। 

মেয়ের এই পরিস্থিতি দেখে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর  ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যার বাবা তথা বিহারের বিধায়ক চন্দ্রিকা রাই। মেয়েকে উদ্ধার করে  প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। এরপর রাবড়িদেবীর নামে সচিবালয়া পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে নিজের পরিস্থিতি জানাতে পুলিশসুপার সগিরমা মালিকের সঙ্গেও  দেখা করেন ঐশ্বর্যা। 

রাবড়ির বিরুদ্ধে করা ঐশ্বর্যার অভিযোগ পেয়ে ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়িতে হাজির হয় সচিবালয়া পুলিশে স্টেশনের আধিকারিকরা। এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকরা রিপোর্ট দিয়েছেন বলে জানান ডিএসপি রাকেশ প্রভাকর। 

 

 

আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই তার ওপর নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ ঐশ্বর্যা রাইয়ের। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেন তেজ প্রতাপ। বর্তমানে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন রয়েছে।