সংক্ষিপ্ত

  • উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়ে শুরু হল ঘরে-বাইরে আক্রমণ
  • মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়ে বিধানসভায় ধরনায় বসলেন অখিলেশ যাদব
  • পাল্টা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
  •  সব মিলিয়ে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুকে বিপাকে বিজেপির সরকার

উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়ে শুরু হল ঘরে-বাইরে আক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়ে বিধানসভায় ধরনায় বসলেন অখিলেশ যাদব। পাল্টা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। সব মিলিয়ে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুতে বিপাকে বিজেপির সরকার।

ভাইয়া মুঝে বাঁচালো-মুঝে মরনা নেহি হ্যায়, শেষ আর্জি ছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতা

বৃহস্পতিবার ভোরে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি রওনা দিয়েছিলেন উন্নাওয়ের ওই যুবতী। কাকভোরে বিহারের বাইশওয়াড়া স্টেশনের দিকে রওনা হয় সে। কিন্তু স্টেশন পৌঁছনোর আগেই তার পথ আটকায় হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ। অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে নির্যাতিতাকে। যন্ত্রণায় মাটিতে কাতরাতে থাকলে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। 

শুক্রবার রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নির্যাতিতা। ডাক্তাররা জানিয়েছেন,৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার পরই রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান যুবতী। হায়দরাবাদ ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মেরেছে পুলিশ। যা নিয়ে এবার উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশ। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের প্রতিবাদে নেমেছেন সামাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদব। বিধানসভার সামনে ধরনায় অখিলেশ বলেন, এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজিপি ও স্বরাষ্ট্র সচিব পদত্যাগ করলেই একমাত্র নির্যাতিতা বিচার পাবেন। এর প্রতিবাদে সারা উত্তরপ্রদেশের জেলায় জেলায় সপা-র কর্মীরা শোকসভা পালন করবে। অখিলেশের অভিযোগ,নারী নিরাপত্তায় কখনও এত খারাপ অবস্থা হয়নি উত্তরপ্রদেশের হয়নি। অতীতে অখিলেশ যাদব মুখ্য়মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যে জঙ্গলরাজের অভিযোগ করতেন  বিরোধীরা।

উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিশুকন্যার শরীরে পেট্রল ঢাললেন দিল্লির মহিলা

অখিলেশ যখন এই কথা বলছেন, তখন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন  কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, অভিযুক্তদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগ রয়েছে। তাই দীর্ঘদিন  ধরে  নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে। দোষীদের সাজা দিতে কোনও ব্য়বস্থা করা হয়নি। যোগীর রাজ্যে মেয়েদের কোনও জায়গা নেই। অধমপ্রদেশ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ।