সংক্ষিপ্ত
- আগেই রেলের কামরাকে করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড
- বিভিন্ন স্টেডিয়ামকেও তৈরি করা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে
- এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেরলের বিখ্যাত বোটহাউসগুলি
- বিলাসবহুল এই হাউসবোটগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানান হচ্ছে
করোনার জেরে লকডাউন চলছে সারা ভারত জুড়ে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে কেরল এক অন্যতম পছন্দের জায়গা। আর কেরলের অন্যতম আকর্ষণ সেখানকার আলাপ্পুজহায় অবস্থিত চলমান হাউসবোট। সেগুলো থাকলেও এখন সেখানে নেই পর্যটকরা। তাই এই হাউসবোট গুলিকে জরুরি ভিত্তিতে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান আলাপ্পুজহার জেলাশাসক এম অঞ্জনা।
জেলাশাসক এম অঞ্জনা জানিয়েছেন, তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১,৫০০ থেকে ২,০০০টি বেড আছে করোনা আক্রান্তদের জন্য। কিন্তু এর পরেও যদি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দরকার পড়ে, তখন আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হবে হাউসবোট গুলিকে।
কাতর আর্তিতে রাতেই খুলল আদালত, লকডাউনের মাঝেই মেক্সিকান বান্ধবীকে বিয়ে করলেন যুবক
দেশে শুরু দ্বিতীয় দফায় লকডাউন, ছাড় পাবে কোন কোন ক্ষেত্র, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র
ভিসার নিয়ম ভেঙে ধর্মপ্রচার, তাবলিগ জামাতে যোগ দেওয়া ৫৭ জন বিদেশিকে এবার জেলে পুড়ল পুলিশ
আলাপ্পুজহার হাউসবোট বা নৌকাগুলিতে সাজানো গোছানো শয়নকক্ষ, আধুনিক শৌচালয়, আরামদায়ক বৈঠকখানা, একটি রান্নাঘর সহ ভালো হোটেলের সমস্ত রকমের আরামদায়ক ব্যবস্থা রয়েছে, এমনকি মাছধরার জন্য ব্যালকনিও রয়েছে। হাউসবোটে থাকাকালীন ব্যাকওয়াটারের সাবলীল জীবন উপভোগ করা যায়। তবে কেবল এই হাউসবোটগুলিই নয়, করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করলে, জরুরী অবস্থার মোকাবিলা করতে রাজ্যের আরও ৬০টি হোটেল এবং রিসর্টকেও আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য উপস্থিত থাকবে মেডিক্যাল দল।
এর আগে ভারতীয় রেল নিজেদের ট্রেনের বগিগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজে লাগিয়েছে। করোনা আক্রান্ত দিল্লি ও মুম্বইতে একাধিক স্টেডিয়াম প্রশাসন অধিগ্রহণ করেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে। এছাড়াও একাধিক হোটেলকেও ব্যবহার করা হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে। এবার সেই দলে ঢুকে পড়ল কেরলের বিখ্যাত হাউসবোটও।
তবে বর্তমানে কেরলের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করছে রাজ্য প্রশাসন। গত ২ দিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্তের খবর মেলেনি। রাজ্যটিতে করোনা প্রাণ কেড়েছে ৩ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭। গত ৩০ জানুয়ারি দেশের মধ্যে কেরলেই প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। দেশে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ক্রমে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছে কেরল সরকার।