সংক্ষিপ্ত

বেরেলিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সাধ্বী প্রাচী বলেন, যেদিন ভারতে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, সেদিন থেকেই দেশ থেকে লাভ জিহাদও শেষ হবে। শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য দেশেও শান্তি থাকবে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্রী সাধ্বী প্রাচী তার তীক্ষ্ণ বক্তব্যের জন্য পরিচিত। রবিবার সাধ্বী প্রাচী লাভ জিহাদ নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন। সাধ্বী প্রাচী বলেছেন, সারা দেশের সব মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এখান থেকেই শুরু হয় লাভ জিহাদ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, হিন্দুরা শুধু অর্থ উপার্জনের কথা ভাবে। যেখানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা ভারতকে শাসন করার কথা ভাবে। এই এজেন্ডা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। তারা শুধু ভারতের ক্ষতিই চেয়ে এসেছে, আর নিজেদের আখের গোছাতে চেয়েছে।

বেরেলিতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সাধ্বী প্রাচী বলেন, যেদিন ভারতে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, সেদিন থেকেই দেশ থেকে লাভ জিহাদও শেষ হবে। শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য দেশেও শান্তি থাকবে।

অখিলেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেওয়া উচিত

সাধ্বী প্রাচী বলেছেন যে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের আবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবার ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের মানুষ শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই ভোট দেবে। এই জিনিসটা সবাই জানে। এটা পূর্ব নির্ধারিত। এর নড়চড় হবে না। ভোটের বাক্সই বলে দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কতটা জনপ্রিয়।

উত্তরাখণ্ড থেকে হিন্দুদের যাত্রা – সাধ্বী প্রাচী

এর সঙ্গে এই হিন্দুত্ববাদী নেতা বলেন, উত্তরাখণ্ডে কোনো মসজিদ সরানো হয়নি। রাজ্যে শুধু অবৈধ সমাধি ভাঙা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড সরকার রাজ্যে বেআইনি ধর্মীয় নির্মাণের বিরুদ্ধে দখল বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেবভূমিতে অহিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরাখণ্ড থেকে হিন্দুরা পাড়ি জমাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হিন্দুদের নিজেদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। অহিন্দুদের দখল করা জমি হিন্দুদের দিয়ে ফের হিন্দুদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নয়তো সমূহ বিপদ হতে পারে।

উত্তরকাশীর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন- সরকার লাভ জিহাদের বিষয়ে কঠোরভাবে কাজ করবে। এই বিষয়ে জেনে রাখা ভালো যে গত কয়েকদিনে দেশ জুড়ে লাভ জিহাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থানের মতো রাজ্য থেকে এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদে একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে রূপান্তরের ঘটনাও সামনে এসেছে, যা বেশ চিন্তায় ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনকে।