সংক্ষিপ্ত

উত্তরপ্রদেশে ২৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বাস করে। গোটা রাজ্যে ২ হাজার ৪৯৮টি পঞ্চায়েত ভবন রয়েছে। এই সমস্ত বিল্ডিংকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
 


ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) মসনদে বসেছেন যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। মসনদে বসেই গোটা রাজ্যব্যাপী একাধিক সংস্কারমুখী প্রকল্পে হাত লাগিয়েছেন তিনি। এবার উত্তরপ্রদেশের সমস্ত গ্রামকেই ডিজিট্যাল গ্রাম করতে বড়সড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে যোগী সরকার। এমনকী এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে বাজেটও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে ইন্টারনেটের ছাতার তলায় সমস্ত গ্রামকে আনতে ইতিমধ্যেই একাধিক সার্ভির প্রোভাইডারকে বরাতও দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরপ্রদেশে ২৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বাস করে। গোটা রাজ্যে ২ হাজার ৪৯৮টি পঞ্চায়েত ভবন রয়েছে। এই সমস্ত বিল্ডিংকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা যাচ্ছে। একযোগে হবে কাজ। সমস্ত সরকারি সুবিধাও এরপর থেকে দ্রুত পাবেন রাজ্যের মানুষ। এমনকি নিত্য সমস্যা জানাতেও থাকবে আলাদা পোর্টা। ডিজিটাল গ্রামে যেকোনও মানুষই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এটিএম, ওয়েব সুবিধা, ডেবিট কার্ড এবং ডিজিটাল লেনদেনের যাবতীয় সুবিধা পাবেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও অনলাইন ডেলিভারির সিস্টেমও নতুন করে সাজানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে। একইসাথে জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য যাতে দ্রুত কৃষকরা পেতে পারেন তার জন্য অনলাইনে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। এমনকী কৃষকদের চাষাবাদ নিয়ে বিশেষ জ্ঞান তৈরির জন্য থাকবে ই-পাঠশালা। সেই কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন-বড় সাফল্যের মুখ দেখছে কাশ্মীর ফাইলস, শীঘ্রই বিবেকের নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে কঙ্গনাকে

আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ

আরও পড়ুন- স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা

পাশাপাশি সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করতে আলাদা আলাদা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হচ্ছে। প্রতিটা গ্রামের জন্য থাকবে নির্দিষ্ট কিছু পন্থা। যার পুরো কন্ট্রোলই হবে ইন্টারনেট মারফত। এমনকি জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রও এরপর থেকে মানুষ এক ক্লিকেইব অনলাইনেই পেয়ে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়াও রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, ক্যারেকটার সার্টিফিকেট, আয়ের বিবরণির মতো বিষয়গুলিও এরপর থেকে দ্রুত অনলাইনে মিলবে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সরকারি আধিকারিকা ইতিমধ্যেই ৪৫ হাজার গ্রামসভাকে উচ্চ গতি ইন্টারনেটের মধ্য দিয়ে জুড়ে দেওয়ার তাজও শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে কবে থেকে এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্ট শুরু হবে সেই বিষয়ে বিশেষ ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে তা যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই পূরণ হবে, এমনটা ভোটের সমীকরণের উপর লক্ষ্য রাখলেই বোঝা যায়।