সংক্ষিপ্ত
- ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে শ্রীনগরের রাস্তায় নামলেন কাশ্মীরি মহিলারা
- অবশ্য ধরনায় বসার আগেই গ্রেফতার করা হল তাঁদের
- এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বোন ও পিসিও
- প্রশ্ন উঠছে কোথায় গেল মোদীর স্বাভাবিক কাশ্মীর
গত ৫ অগাস্টের পর থেকে এই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। মঙ্গলবার ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে শ্রীনগরের রাস্তায় নামলেন কাশ্মীরি মহিলারা। আর তারপরই গ্রেফতার করা হল তাঁদের। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বোন ও পিসিও। এরপরই প্রশ্ন উঠল কোথায় গেল '৫৬ ইঞ্চির ম্যাচো সরকার'?
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে গত ৭৩ দিনে কাশ্মীরের সুশীল সমাজকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। সোমবার পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হওয়ার পরই এদিন শ্রীনগরের লালচকে ধরনায় বসার কর্মসূচি নেন কাশ্মীরি মহিলারা। আর তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদেই কেঁপে গেল প্রশাসন। ধরনায় বসার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
আটক মহিলাদের বেশিরভাগই ষাটোর্ধ অধ্যাপক কিংবা শিক্ষাবিদ। তাঁদের মধ্য়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার বোন সাফিয়া আবদুল্লা এবং পিসি সুরাইয়া আবদুল্লাও আছেন।
মহিলাদের এই গ্রেফতারির পরই কাশ্মীর শান্তি ফেরার দাবি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। সমাজের বিশিষ্ট কিছু প্রাজ্ঞ মহিলার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে কোন বিপদের আশঙ্কা করল প্রশাসন - এই প্রশ্নেই বিদ্ধ হচ্ছে কাশ্মীর পুলিশ। বলা হচ্ছে এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিল কাশ্মীরের সবকিছু মোটেই স্বাভাবিক নেই।
ঘটনার পরই মোদী সরকারকে তুলোধোনা করেছেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। আগে থেকেই তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁর মেয়েই এখন তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সামলাচ্ছেন। সেখানে ঘটনার পরই তিনি একটি পোস্ট করেন। তাতে তিনি মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে ৫৬ ইঞ্চির ম্যাচো সরকার বলেছেন। তিনি বলেন, এমনি ম্য়াচো সরকার যে বয়স্ক ও মহিলাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদেই তাদের আটক করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাবি করেন, শহরে কার্ফু জারি করা যায়, অনুভূতি বা ভাবনায় কেউ কার্ফু জারি করতে পারে না।