সংক্ষিপ্ত
ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের কো-ফাউন্ডার প্রতীর সিনহা ও মোহাম্মদ জুবেয়ের এই বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেতে পারেন। টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য যাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যেই রয়েছেন ভারতের এই দুই সাংবাদিক।
ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের কো-ফাউন্ডার প্রতীর সিনহা ও মোহাম্মদ জুবেয়ের এই বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেতে পারেন। টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য যাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যেই রয়েছেন ভারতের এই দুই সাংবাদিক। পিস রিসার্চ ইনস্টিউটের আসলো-এর পরিচালক যে তালিকা তৈরি করেছেন তাকে নাম রয়েছে লেখক ও সমাজকর্মী হর্ষ মন্দারের। তাঁর প্রচারাভিযান ও কারওয়ান -ই মহব্বতের জন্য।
প্রতীক সিনহা ও মহম্মদ জুবেরকে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পদ্ধতিগত গুজব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত জাল খবরগুলিকে তুলে ধরে তার জনতার সামনে পেশ করার মত গুরুত্বপূর্ণ কার করছেন তাঁদের ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তাঁরা বহু বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরাসরি তথ্য তুলে ধরছেন আর তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছেন। তাই নোবেল শান্তিপুরষ্কারের তালিকায় বহু দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাষ্ট্রনেতা, সমাজকর্মীর সঙ্গে নাম রয়েছে ভারতের দুই সাংবাদিকেরও।
২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের দৌড়ে রয়েছেন ৩৪৩ জন। এই তালিকায় ২৫১ ব্যক্তির নামের পাশাপাশি ৯২টি সংস্থার নাম রয়েছে- যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় লাগাতার কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী ৭ অক্টোবর ঘোষণা করা পুরষ্কার প্রাপকদের নাম।
মহম্মদ জুবের সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে ছিলেন। কারণ তাঁকে চলতি বছর ২৭ জুন গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার বছর আগে করা টুইটের জন্য জেলে যেতে হয়েছি তাঁকে। দিল্লি পুলিশ ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। যদিও কিছুদিন পরেই তিনি জামিন পান।
যদিও গোটা বিশ্বের সাংবাদিকরা জুবেরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছিলেন। ২৮ জুন এডিটরস গিল্ডের তরফ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সমাজে যারা মেরুকরণ করতে চায় তারা অল্ট নিউজের নজরদারীর জন্য সুবিধে করতে পারে না। অল্ট নিউজের ওপর সেই সম্প্রদায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ। জুবেরকে প্রায় এক মাস পরে ২০ জুলাই জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাক্তন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক সিনহা। তিনি প্রথমদিকে তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল ভুয়ো খবরের প্রচার বন্ধ করা।
হর্ষ মান্দার হলেন একজন সামাজিক কর্মী এবং প্রাক্তন আইএএস অফিসার, যিনি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার পরে তার প্রচারাভিযান কারওয়ান-ই-মহব্বত (প্রেমের কাফেলা) দিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন।