সংক্ষিপ্ত
জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ জুন শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা। চলবে অগাস্টের ১১ তারিখ পর্যন্ত। ১৩ বছর থেকে ৭৫ বছর বয়সীরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন।
করোনার দাপটে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জনজীবন। ঘোরাফেরা বন্ধ ছিল সবই। বন্ধ ছিল একাধিক পর্যটন কেন্দ্রও। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই ভালো। আর সেই কারণেই করোনার ধাক্কা সামলে প্রায় ২ বছর পর ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে অমরনাথ মন্দিরের দরজা। জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ জুন শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা। চলবে অগাস্টের ১১ তারিখ পর্যন্ত। ১৩ বছর থেকে ৭৫ বছর বয়সীরা এই যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন।
ভারতের শিব ভক্তদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল অমরনাথ। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ ভক্ত সেখানে যান। কিন্তু, করোনার জেরে বদলে যায় পরিস্থিতি। ২ বছর ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। কিন্তু, এখন গোটা দেশেই করোনার দাপট অনেকটাই কম রয়েছে। আর সেই কারণেই আবারও এই যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রায় ইচ্ছুকদের আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে।
৩০ জুন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ৪৪৬ শাখায় এবং স্টেট ব্যাঙ্কের ১০০টি শাখায় নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে। আর এই নাম নথিভুক্ত করার জন্য মাথাপিছু খরচ হবে ১২০ টাকা। তবে নাম নথিভুক্ত করতে অমরনাথ তীর্থ পরিষদের ঠিক করে দেওয়া কিছু নির্দিষ্ট হাসপাতাল থেকে করাতে হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। অমরনাথ তীর্থ পরিষদের নিজস্ব অ্যাপ ও ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনেও নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন- কেরালার এই বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়ে বন্ধ ছিল এই উৎসব পালনের জন্য
কীভাবে নাম নথিভুক্ত করা যাবে?
- প্রথমে শ্রী অমরনাথ তীর্থ পরিষদের ওয়েবসাইটে (Shri Amarnathji Shrine Board) যেতে হবে।
- সেখানেই দেখা যাবে 'হোয়াটস নিউ' লেখাটি। তাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আসবে অনলাইন রেজিস্ট্রার অপশনটি। ক্লিক করতে হবে সেখানে।
- এরপর একটি ফর্ম চলে আসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সব তথ্য লিখতে হবে।
- ফর্ম ফিলআপ হয়ে যাওয়ার পর সাবমিট করলে RFID ট্যাগ পেয়ে যাবেন। তার মাধ্যমেই আসলে বোর্ডের তরফে যাত্রীদের ট্র্যাক করা হবে।
আরও পড়ুন- 'নোংরা হয়ে গেল প্যাংগং লেক', পর্যটকদের অশালীন আচরণে ক্ষিপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া
এছাড়া নাম নথিভুক্ত করার সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও চারটি পাসপোর্ট সাইজের ফোটো বাধ্যতামূলক। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দাবি, এই বছর ছয় থেকে আট লক্ষ মানুষ সেখানে তীর্থ করতে যেতে পারেন। পহেলগাঁও ও বলতাল দু’টি পথই খোলা থাকছে। তবে এক-একটি পথে দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক ১০ হাজারে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে প্রশাসন। থাকছে ব্যাটারি চালিত যান ও হেলিকপ্টার পরিষেবা। ইতিমধ্যে সেখানে হোটেল বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।