সংক্ষিপ্ত

৭০ আসনের নৌকায় একাই সওয়াল পরীক্ষার্থী
দুদিন এভাবেই পরীক্ষা দিলেন তিনি
কেরলের নৌ পরিবহণ দফতরের সহযোগিতায়

 করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এখনও লকডাউন চলছে কেরলে। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণির প্লাস ওয়ান পরীক্ষা। কিন্তু লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে গিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়েছিলেন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সান্দ্রা বাবু। ১৭ বছরের সান্দ্র আলাপুজ্জার প্রত্যন্ত এলাকা কুট্টান্ডের বাসিন্দা। এই এলাকায় ভারতের মূল ভূখণ্ডের সব থেকে নিচু এলাকা। সমুদ্র পৃষ্ঠ খেরে প্রায় ১.২ থেকে ৩ মিটার নিচে এর অবস্থান। কেরলের বিখ্যাত ব্যাক ওয়াটার দ্বীপের বাসিন্দা সান্দ্রা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই কেরল সরকার বাকি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলে রীতিমত বিপাকে পড়ে ১৭ বছরের মেয়েটি। 

সান্দ্রা বাবুকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে রাজ্যের নৌপরিবহন দফতর। কেরল সরকার সূত্রে জানান হয়েছে একটি আস্ত নৌকার ব্যবস্থা করা হয় পরীক্ষার্থীর জন্য। ৭০ আসনে সেই নৌকায়  চড়ে দুদিন একাই পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সান্দ্রা। তবে তাঁর পরীক্ষা না শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা নৌকাটি। পরীক্ষা দিয়ে সেই বিশাল ফাঁকা নৌকায় করে আবার বাড়ি ফেরেন তিনি। নৌকায় পরীক্ষার্থী ছাড়া ছিল মাত্র পাঁচ ক্রু সদস্য। 

তবে এই নৌকা চলাচলে কিছুটা সমস্যা ছিল। আলাপুজ্জার বাসিন্দা সান্দ্রা। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল পাশ্ববর্তী জেলা কোট্টায়ামে। সচারচর দুটি খেয়া পারাপার করেই যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। কিন্তু এক্ষেত্র এগিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী। তিনি জানিয়েদেন একটি নৌকা করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে সান্দ্রা। 

তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভাড়া গুণতে হয়েছিল ছাত্রীকে। তবে তাঁর কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। সান্দ্রার বাবা দিন মজুর। লকডাউনের কারণে বর্তমানে হাতে কাজ নেই। সরকারের রেশনের কোনও রকমে দিন গুজরান হয়। এই অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন যদি সহযোগিতা না করত তাহলে বাকি দুটি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রীতিমত বিপাকে পড়তে হত তাঁকে। তেমনই জানিয়েছে তাঁর পরিবার।