হাইপারসোনিকের সফল উৎক্ষেপন ভারতে  শব্দের থেকেই দ্রুতগতির অস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করবে  কালাম দ্বীপ থেকে হয় পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ  হাইপারসোনিক ক্লাবের চতুর্থ সদস্য ভারত  

ভারতের তৈরি হাইরাপসোনিক প্রযুক্তি সফল্যের মুখ দেখল ওড়িশার হুইলার দ্বীপ বা আবদুল কালাম লঞ্চ কমপ্লেক্সে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ডিআরডিও পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে হাইপারসোনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেট ভেইকেলের পরীক্ষ করা হয়। আর তাতে রীতিমত সাফল্য এসেছে বলেও দাবি করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে। এটিতে দেশের একটি বড় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বলেও দাবি করেছেন ডিআরডিও বা প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ডঃ সতীশ রেড্ডি। তিনি বলেন এর ফলে প্রযুক্তি উপকরণ আর হাইপারসোনিক যানবাহ বিকাশের পথ প্রসস্থ হবে। 

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…


হাইপারসোনিক মিসাইল ক্লাবের চার নম্বর সদস্য হল ভারত। এই ক্লাবের বাকি সদস্যরা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন। এই হাইরাপসনিক প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিওকে শুভেচ্ছা জানিয়এছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনাকে বাস্তবাতিয় করার পথে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে ডিআরডিও।

Scroll to load tweet…


একটি সূত্রের খবর সফল উৎক্ষেপণের ফলে ডিআরডিও আগামী পাঁচ বছর স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনসহ একটি হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির ক্ষমতা অর্জন করবে। যা প্রতিসেকেন্ডে দুই কিলোমিটারের বেশি যেতে পারে। এদিন প্রাথিমক পরীক্ষার পর এইচএসটিডিভি জ্বলন চেম্বেরর চাপ বায়ু গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা সহ সমস্ত পরিমিতিগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। এদিন অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র বুস্টার হাইপারসোনিক যানটিকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যায়। তারপর অগ্নি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেটি সফলভাবে স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন চালু করে। আর এই মাধ্যমে ডিআরডিওর বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা রাশিয়া চিন বা আমেরিকার থেকে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই। আর পরীক্ষার মাধ্যমেই ভারত হাইপারসোনিক অস্ত্র তৈরির দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে অস্ত্র তৈরি হবে তা শদ্বেদের থেকেও ৬গুণ বেশি গতি সম্পন্ন হবে। 

"